রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন জটিল ও চ্যালেঞ্জিং বিষয়
ড. দেলোয়ার হোসেন : রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন জটিল ও চ্যালেঞ্জিং বিষয়। তারা যেভাবে আমাদের দেশে এসেছে, আমরা চাইলেতো আর তাদের ঠেলে পাঠিয়ে দিতে পারি না। তাই এটি এত দ্রুত সমাধান করা সম্ভব নয়। এটি কূটনৈতিক প্রক্রিয়ার একটি অংশ। তাদের চেষ্টায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন হওয়ার কথা ছিল। যদিও কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। আর কেন বিলম্ব হচ্ছে সেই কারণগুলো আমাদের সবার জানা আছে। মিয়ানমার এতো সহজে পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করবে না। তারা রোহিঙ্গাদের দেশ থেকে বিতারিত করার মধ্যে নিশ্চয় বড় কোনো উদ্দেশ্য ছিল। তাছাড়া রোহিঙ্গাদের এই মুহূর্তে ফেরত পাঠানোর মধ্যে কিছু চ্যালেঞ্জ আছে। তাদের নিরাপত্তা দেওয়া, তাদের নিজের জমিতে থাকতে দেওয়াসহ আরও অনেকগুলো বিষয় আছে। এগুলো সমাধান না করে পাঠানো ঠিক হবে বলে আমি মনে করি না। আমাদের কূটনৈতিক প্রক্রিয়াগুলো এভাবে চলতে থাকবে। তাদের চেষ্টা করতে হবে। চেষ্টা না করলে তো কোনো ফল মিলবে না। মিয়ানমার সরকার যেহেতু তালবাহানা করছে, তাদের কিভাবে মানানো যায় সেভাবে কাজ রকতে হবে। এছাড়া কোনো উপায় নেই। আমাদের এমনভাবে চুক্তি করে আশাবাদ তৈরি করতে হবে। আশাবাদ তৈরি করলে একদিন তা সফল হবে। নতুন চুক্তি অনুযায়ী যে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন করতে ব্যর্থ হয়েছে, তার জন্য কূটনৈতিকভাবে ব্যর্থ হয়েছে বলা যাবে না। তারা তাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করছে। আমরা বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে এটিকে ব্যর্থতা বলতে পারি না। বাংলাদেশ একটি বড় ধরনের বোঝা বহন করছে। এ থেকে কিভাবে পরিত্রান পাওয়া যায়, এটির জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। যে বিলম্বটি হচ্ছে, তার জন্য নতুন করে কূটনৈতিক কাজ করতে হবে। আশা করি, তারা মিয়ানমারের সরকারকে রোহিঙ্গাদের ভালোভাবে প্রত্যাবাসন করতে রাজি করাবে।
পরিচিতি : অধ্যাপক, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, ঢাবি
মতামত গ্রহণ : গাজী খায়রুল আলম
সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ