আওয়ামী লীগের নিজের আভ্যন্তরীণ কোন্দল মেটানো প্রয়োজন
মে. জে. (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক : যশোরে এক বছরে আশিজন খুন। যত মানুষ খুন হয়েছে তার বেশির ভাগই আওয়ামী লীগের লোক। স্বাভাবিকভাবেই প্রথম আঙুল উঠবে বিরোধী শিবিরের দিকেই। আওয়ামী লীগ নয় বছর যাবৎ ক্ষমতায় আছে। ক্ষমতায় থাকার সুবাদে আওয়ামী লীগের বহু ব্যক্তি দোকান পাট দখল, ব্যবসা বাণিজ্য দখল, জমি জমা দখলের মতো কাজে জড়িত হয়ে পড়েছে। এই সকল কাজ করতে গিয়ে তাদের মধ্যে আভ্যন্তরীণ দ্বন্ধ সৃষ্টি হয়েছে। কেউ টাকা পয়সার সুবিধা বেশি পাচ্ছে, কেউ ক্ষমতা বেশি পাচ্ছে। এর ফলে আভ্যন্তরীণ কোন্দল বহুগুণ বেড়ে গেছে। যেহেতু এটা কোনো নৈতিকতার আদর্শভিত্তিক দল নয়, এটা রাজনৈতিক মতাদর্শ ভিত্তিক একটি উদার পন্থী দল। তাই এই দলের অভ্যন্তরে নৈতিকতা নিয়ে বড় কোন প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় না। অনৈতিক কাজ করাকে তারা অপরাধ বলে মনেই করে না। যেহেতু আইনের আশ্রয় নেয়া কঠিন হয়ে যায়, তাই আভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে তারা একজন আরেক জনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। এবং এই অবস্থান নিতে গিয়ে তারা একজন আরেকজনকে খুন করে। আওয়ামী লীগের নিজের আভ্যন্তরীণ কোন্দল মেটানো প্রয়োজন। তা নাহলে তাদের আরো লোকবল ক্ষয় হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এটার জন্য বিরোধী শিবিরের দিকে আঙুল তোলার কোনো প্রয়োজন নাই। এটা একটা অবান্তর প্রশ্ন। আওয়ামী লীগের আইন প্রশাসন দিয়ে বিরোধী দলের নেতা কর্মীকে যেভাবে দৌড়ের ওপর রাখা হয়েছে, তাতে করে বিরোধী দলের লোকজন চিন্তা করারও সময় পাবে না যে, আওয়ামী লীগের ওপর হামলা করবে।
পরিচিতি: চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি
মতামত গ্রহণ : সানিম আহমেদ
সম্পাদনা: মোহাম্মদ আবদুল অদুদ