সুন্দরগঞ্জে ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদনে ব্যাপক সাফল্য
রফিকুল ইসলাম, গাইবান্ধা : গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শান্তিরাম ও ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নের ৪০ টি পরিবার পরিবেশ বান্ধব ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদনে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। অল্প খরচে বাড়িতে ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদন দিন দিন বেড়েই চলছে।
উদ্ভিদ ও প্রাণিজ বিভিন্ন প্রকার জৈব বস্তু বিশেষ প্রজাতির কেঁচোর পঁচন ক্রিয়ার ফলে ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার উৎপাদন করা হয়। কেঁচো প্রায় সকল প্রকার জৈব পদার্থই গ্রহণ করতে পারে । কেঁচো বস্তু সামগ্রী উপর থেকে নিচে এবং নিচ থেকে উপরে তুলে থাকে। এ সব কাজের সাথে কেঁচো সার তৈরি হয়। ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদনে ৩০-৪০ দিন সময় লাগে। ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদনে গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগির বিষ্ঠা নাড়ি ভুড়ি, তরকারি, কালাই, সরিষা, গম, লতা, পাতা, ধান, গমের ভুসি উপকরন হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
এক হতে দেড় ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট মাটির পাত্র, কাঠের বাক্স সিমেন্টের পাত্রের তলদেশে ৩ ইঞ্চি পরিমাণ ইটের টুকরা বিছিয়ে তার উপর ১ ইঞ্চি বালু দিতে হবে। তারপর কম্পোস্ট উপকরণ দিয়ে একটি করে পাত্রে প্রাপ্ত বয়স্ক কেঁচো গড়ে কেজি প্রতি ১০টি করে ছেড়ে দিতে হবে। মাঝে মাঝে হালকা পানি ছিটাতে হবে। এ ভাবে কেঁচো সার তৈরি হয়ে যায়। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান