লোকসানে ডুবছে ৫ আর্থিক প্রতিষ্ঠান
ফয়সাল মেহেদী : খেলাপি ঋণসহ বিভিন্ন অনিয়মের কারণে ধারাবাহিক লোকসানে ডুবছে ব্যাংকবহির্ভূত পাঁচ আর্থিক প্রতিষ্ঠান। মাত্রাতিরিক্ত অনিয়মের কারণে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে পর্যবেক্ষক নিয়োগ দিয়েও আর্থিক আবস্থার উন্নতি হচ্ছে না। বরং কিছু প্রতিষ্ঠানের অবস্থা দিন দিন আরও খারাপ হচ্ছে।
জানা গেছে, আর্থিক অবস্থা অবনতি হওয়ায় বাজারে লোকসানি এ প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ারের চাহিদা কমে গেছে। ফলে বেশির ভাগেরই শেয়ারদর ফেসভ্যালুর কাছাকাছি অবস্থান করেছে। এমনকি ডিভিডেন্ডও দিচ্ছে না। এতে ফেঁসে গেছেন প্রতিষ্ঠানগুলোর সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, ২০১৫ সাল থেকে বড় অংকের লোকসানে রয়েছে বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি (বিআইএফসি)। জানা যায়, প্রতিষ্ঠানটির উদ্যোক্তা মেজর (অব.) আবদুল মান্নান অবৈধভাবে বিআইএফসি থেকে ৭০৩ কোটি টাকা বের করে নেয়। এসব অনিয়মের ঘটনায় ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠানটির বেশিরভাগ পরিচালককে অপসারণ করে পর্যবেক্ষক নিয়োগ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। যদিও সদ্য বিদায়ী বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিআইএফসির বিতরণকৃত ঋণের ৯৩ শতাংশই খেলাপি।
২০১৬ সমাপ্ত বছরে এই প্রতিষ্ঠানটির লোকসান হয় ৬৮ কোটি ১৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এদিকে সদ্য সমাপ্ত বছরের প্রথম প্রান্তিক থেকেই টানা লোকসান বাড়ছে প্রতিষ্ঠানটির। আগের বছরের তুলনায় সদ্য সমাপ্ত বছরের তিন প্রান্তিক মিলে ৯ মাসে লোকসান বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪ কোটি ৮২ লাখ ১০ হাজার টাকা। অর্থাৎ প্রতি প্রান্তিকে গড়ে প্রতিষ্ঠানটির লোকসান হয়েছে ১৮ কোটি ২৭ লাখ টাকা। সেই হিসাবে গত বছরের তুলনায় সদ্য সমাপ্ত বছরে লোকসান আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে সদ্য বিদায়ী বছরের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রান্তিক মিলে প্রথম ৯ মাসে ফারইষ্ট ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের লোকসান হয়েছে প্রায় পৌনে ৮৪ কোটি টাকা। অথচ এই প্রতিষ্ঠানের মুনাফা কোনো হিসাব বছরেই ৩১ কোটি টাকা ছাড়ায়নি। সর্বশেষ ২০১৬ হিসাব বছরেও প্রায় ১০ কোটি ৩০ লাখ টাকা মুনাফায় ছিলো।
এছাড়া তিন প্রান্তিক মিলে ২০১৭ সমাপ্ত হিসাব বছরের প্রথম ৯ মাসে ফার্স্ট ফাইন্যান্স লিমিটেডের লোকসান দাঁড়িয়েছে ১৩ কোটি ৮৭ লাখ ১০ হাজার টাকা। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রতিষ্ঠানটির লোকসান ১১ পয়সা কমেছে।