বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের নিরাপত্তা আরো জোরদার হচ্ছে
সাইদ রিপন : বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের নিরাপত্তা আরো জোরদার করতে উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। এতে করে সীমান্তে নিরাপত্তায় মায়ানমার থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধ হবে। পাশাপাশি ওই এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থারও উন্নয়ন ঘটবে।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ বিষয়ক একটি প্রকল্পসহ মোট ১৪টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। একনেক সভা শেষে প্রকল্পগুলো নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, কক্সবাজার জেলায় বাংলাদেশ-মিয়ানমারের এ সীমান্ত নিরাপত্তা উন্নত করার জন্য ‘উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলায় নাফ নদী বরাবর পোল্ডারসমূহের (৬৭/এ, ৬৭, ৬৭বি এবং ৬৮) পুনর্বাসন’ শীর্ষক প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতায় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড চলতি ২০১৭-১৮ হতে ২০১৯-২০ অর্থবছর পর্যন্ত মেয়াদকালে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। প্রকল্প এলাকা হচ্ছে চট্টগ্রাম বিভাগের কক্সবাজার জেলার টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলা। এ প্রকল্পের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪২ কোটি টাকা।
অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হচ্ছে, বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা উন্নয়ন প্রকল্পপাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার গাজনার বিলের সংযোগ নদী খনন, সেচ সুবিধার উন্নয়ন এবং মৎস্য চাষ, বৃহত্তর নোয়াখালী জেলার পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন, মরজাল-বেলার সড়ক ও পোড়াদিয়া-বেলাব জেলা মহাসড়ক দুটি যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরন, বগুড়া শহর থেকে মেডিকেল কলেজ পর্যন্ত সংযোগ সড়ক নির্মাণ, জিএমডিএসএস এবং ইন্ট্রিগ্রেটেড মেরিটাইম নেভিগেশন সিস্টেম স্থাপন, গোবরাকুড়া-কড়ইতলী স্থলবন্দর উন্নয়ন, ইন্ট্রোডাকশন অব মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) এবং মেশিন রিডেবল ভিসা (এমআরভি) ইন বাংলাদেশ, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শূল্ক আইন ২০১২ বাস্তবায়ন (ভ্যাট অনলাইন), লার্নিং এন্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট, বিসিএস ক্যাডার কর্মকর্তাদের সক্ষমতা বাড়িয়ে সরকারকে শক্তিশালিকরণ, কেমিক্যাল মেট্রোলজি অবকাঠামো সমৃদ্ধকরণ। সম্পাদনা : সৈয়দ নূর-ই-আলম