কাগজপত্র হাতে পেলেই লালবাগে হেলে পড়া ভবনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত
মবিনুর রহমান: রাজধানীর লালবাগে হেলা পড়া ৫ তলা ভবনটি ভেঙে ফেলা হবে কি না- প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হাতে পেলে এ বিষয়ে চ’ড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) জোন-৫-এর কর্মকর্তা আশিষ কুমার সাহা। তিনি জানান, ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় গত রোববারই ভবন থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে। ভবন মালিককে চিঠি দেয়া হয়েছে নকশা, রাজউকের অনুমোদনসহ যাবতীয় কাগজপত্র জমা দেয়ার জন্য। এছাড়াও বুয়েট থেকে পরীক্ষা করে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। এসব কাগজপত্র পাবার পর বিশেষজ্ঞদের নিয়ে আমরা বসবো তারপর হেলে পড়া ভবনটির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এদিকে আজ (বুধবার) বুয়েটের একটি বিশেষজ্ঞ দলের ভবনটি পরিদর্শনের কথা রয়েছে বলে জানান ভবনের মালিক হাজি শওকত আলীর ছেলে আশরাফ। তিনি জানান, ভবনটি ২৭ বছর আগে নির্মাণ করা হয়েছিল। এই জায়গাটা এক সময় খালি ছিল। খাল ভরাট করে বাড়িটি নির্মাণ করা হয়। শুরু থেকেই বাড়িটির নিরাপত্তার দ্বায়িত্ব পালন করছে পুলিশ।
এ বিষয়ে লালবাগ থানা ওসি সুভাষ দাস জানান, বাড়িটির বিষয় রাজউক এবং সিটি করপোরেশন দেখছে। আমরা বাড়ির ভেতর লোকজন সরিয়ে দিয়েছি। ভবনটি বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে। এখন বিপদের আশংকা নেই।
৫তলা ভবনটি উপরে তাকালে দেখা যায় পাশের ভবনে ৩ ফিটের মতো হেলে পড়েছে ভবনটি।
ভবনটির ভাড়াটিয়া সামসুল ইসলাম জানান, অনেক ভাড়াটিয়ার বাচ্চাদের স্কুলের বই, কাপড়সহ প্রয়োজনীয় কিছুই নিতে পারেনি। হঠাৎ বাড়িটি হেলে পড়ায় সব ভাড়াটিয়া বিপদে পড়েছে। এমন সময় অন্য বাসায় ঘর ভাড়া পাওয়াটাও কঠিন। বেশিরভাগ ভাড়াটিয়া তাদের আত্মীয় স্বজনদের বাসায় উঠেছে।
গতকাল দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাইনবোর্ড ঝুলছে ভবনটির দেয়ালে। তাতে লেখা, ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ এবং এ ভবনে বসবাস করা নিরাপদ নয়।
এ বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২৪ নং ওয়ার্ড কমিশনার মোশারফ হোসেন জানান, ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ বহুদিন ধরে। এটি পরিদর্শনে রাজউকের ইঞ্জিনিয়ার এসেছিলেন। তারা বলেছেন, ভবনটি ভেঙে ফেলা হবে। ভবনটির নকশা, রাজউকের অনুমোদন নেই বলেও তিনি জানান। সম্পাদনা : আনিস রহমান