ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থান দিবস রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসনের বাণী
শাহানুজ্জামান টিটু : আজ ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থান দিবস। ১৯৬৯ সালের এই দিনে পাকিস্তানি স্বৈরাচারি আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে মুক্তিকামী বাংলাদেশের জনগণ এক বীরত্বপূর্ণ সংগ্রামে অবতীর্ণ হয়। জাতির মুক্তির সনদ খ্যাত ৬ দফা এবং পরে ছাত্র সমাজের দেয়া ১১ দফা কর্মসূচির প্রেক্ষাপটে এই গণ-অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছিল। সে সংগ্রামের মাধ্যমে জনতার দাবি মেনে নিতে বাধ্য হয় তৎকালীন আইয়ুব সরকার।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ অ্যাডভোকেট, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে সবাইকে ঊনসত্তরের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি ১৯৬৯ সালের এই দিনে এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
অপশাসন ও শোষণের বিরুদ্ধে উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান আজও আমাদের অনুপ্রাণিত করে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সকল শোষণ, বঞ্চনা ও বৈষম্যের অবসান ঘটিয়ে দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে তার সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। গণ-অভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে দেয়া বাণীতে তিনি মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত, অসাম্প্রদায়িক, উন্নত, সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তোলারও আহবান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আসুন, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে আমরা ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত, অসাম্প্রদায়িক, উন্নত, সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তুলি। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করি। মুক্তিকামী নিপীড়িত জনগণের পক্ষে জাতির মুক্তি সনদ খ্যাত ৬ দফা এবং পরবর্তীতে ছাত্র সমাজের দেয়া ১১ দফা কর্মসূচির প্রেক্ষাপটে সংঘটিত হয়েছিল এ গণঅভ্যুত্থান।
দিবসটিতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বাণীতে বলেন, আবারও একদলীয় স্বেচ্ছাচারী শাসন কায়েম করা হয়েছে, গণতন্ত্রকে হত্যা করে বাক, ব্যক্তি ও চিন্তার স্বাধীনতা এখন গুম করে ফেলা হয়েছে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী একতরফা ভোটারবিহীন নির্বাচন করে ভোট দিয়ে ভোটারদের নিজের পছন্দমতো প্রতিনিধি বাছাই করার অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের জাতীয় জীবনে ঊনসত্তরের গণঅভ্যূত্থানের তাৎপর্য অপরিসীম। এ দিবস আমাদের গণতন্ত্র ও স্বাধীকার অর্জনের চেতনাকে শাণিত করে এবং সকল অন্যায় অবিচার ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হতে আজও অনুপ্রেরণা জোগায়।