যৌন নিপীড়নকারীর ফাঁসির প্রস্তাব জয়নব হত্যাকা-ে আরেকজন গ্রেফতার
ইমরুল শাহেদ ও ওমর শাহ : পাকিস্তানের কাসুরে শিশু জয়নব ধর্ষণ ও হত্যার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে প্রধান সন্দেহভাজন প্রতিবেশী ইমরানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তারা। অন্যদিকে সিনেটের একটি স্থায়ী কমিটি শিশু যৌন নিপীড়নকারীর ফাঁসির পক্ষে রায় দিয়েছে। সূত্র : এক্সপ্রেস ট্রিবিউন, ডেইলি পাকিস্তান ও ডননিউজ।
পাঞ্জাব সরকারের মুখপাত্র মালিক আহমদ খান বলেছেন, নিশ্চিত হতে তার ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইমরান দোষ স্বীকার করেছেন। এই মামলায় তাকে আগেও একবার গ্রেফতার করা হয়েছিল। কিন্তু পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। রোববার সুপ্রিম কোর্ট পাঞ্জাব পুলিশকে জয়নবের ধর্ষক ও হত্যাকারীসহ কাসুর জেলার আট শিশুর ধর্ষকদের গ্রেফতারের জন্য ৭২ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছিল।
পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সাকিব নিসারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ গত রোববার থেকে লাহোর রেজিষ্ট্রিতে মামলাটির সুয়োমটো শুনানি শুরু করেছে।
উল্লেখ্য, জয়নবকে গত ৪ জানুয়ারি কাসুরে তার চাচার বাড়ির কাছ থেকে অপহরণ করা হয়। এর পাঁচ দিন পর তার মৃতদেহ পাওয়া যায় আবর্জনার স্তূপে। পোস্ট মর্টেম রিপোর্টে দেখা যায়, তাকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে।
প্রকাশ্যে ফাঁসির প্রস্তাব : পাকিস্তান সিনেটের স্থায়ী কমিটি শিশু অপহরণ, হত্যা ও শিশু যৌন নিপীড়নকারীদের প্রকাশ্যে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদ- কার্যকর করার বিধান রেখে একটি আইন করার প্রস্তাব দিয়েছে। প্রস্তাবে বলা হয়, ১৪ বছরের কম বয়সী শিশুদের অপহরণ, হত্যা ও যৌন নিপীড়নে অভিযুক্তকে প্রকাশ্যে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃতুদ- কার্যকর করার জন্য আইন করা হোক। সোমবার সিনেটর রেহমান মালিকের সভাপতিত্বে কমিটির সদস্যরা এই প্রস্তাবের পক্ষে তাদের রায় জানায়। কমিটির বৈঠকে সম্প্রতি দেশটির কাসুর গ্রামে ৬ বছর বয়সী শিশু জয়নব আনসারিকে ধর্ষণ ও হত্যাকা-ের নিন্দা জানিয়ে প্রস্তাবটি পাস করা হয়।
কাসুরে পর পর কয়েকটি শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটলেও এ বিষয়ে কোনো সুরাহা হয়নি। এক্ষেত্রে পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলেছেন জয়নবের বাবা মোহাম্মদ আমিন। তিনি সোমবার ওই কমিটির বৈঠকে উপস্থিত হয়ে এই অভিযোগের কথা জানান।