অর্থনীতির সঙ্গে আলোচনায় নারী অধিকার শরণার্থী, জলবায়ু, বিশ্বায়ন ও সন্ত্রাসবাদ
লিহান লিমা: সুইজারল্যান্ডের ড্যাভোসে তুষারঢাকা পথ পাড়ি দিয়ে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের অনুষ্ঠানে জড়ো হয়েছেন সারা বিশ্বের কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের প্রধান, প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও নির্বাহী কর্মকর্তারা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরুতেই বক্তব্য রাখেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
নিজের বক্তব্যে মোদি বিশ্বের জন্য হুমকি তিনটি বিষয় তুলে ধরেন। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশের বিপর্যয়, সন্ত্রাসবাদ ও শিক্ষিত যুবকদের চরমপন্থায় আকৃষ্ট হওয়া এবং আত্মকেন্দ্রীকতার ফলে বিশ্বায়নের সংকোচন বর্তমান পৃথিবীর জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী ইরনা সোলবার্গ অবৈধ আর্থিক লেনদেন এবং দুর্নীতি প্রতিরোধের জন্য নতুন ভাবে কার্যক্রম গ্রহণ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘এখন দুর্নীতির বিরুদ্ধ রুখে দাঁড়ানোর জন্য আরেক ‘মি টু’ ক্যাম্পেইন জোরদার করতে হবে।’ এছাড়া তিনি অর্থনীতি ও বাণিজ্যে নারীদের সঙ্গে বৈষম্যের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে নারীদের সঙ্গে অনুপযুক্ত আচরণ করা হয়।’
অন্যদিকে শরণার্থী ইস্যুতে অবস্থানের জন্য ক্রিস্টাল অ্যাওয়ার্ড পাওয়া অস্ট্রেলিয়ার অভিনেত্রী কেট ব্লেনচেট শরণার্থীদের সঙ্গে অনৈতিক আচরণ এবং তাদের সম্পর্কে ভুয়া খবর ছাড়নোর তীব্র প্রতিবাদ করেন। তিনি বলেন, ‘শরণার্থীদের সঙ্গে এই আচরণ অত্যন্ত লজ্জাজনক। বিশ্বকে তাদের সাহায্যে আরো বেশি সক্রিয়ভাবে এগিয়ে আসতে হবে।’
এমএনজি ইনভেস্টমেন্টের প্রধান নির্বাহী অ্যানা রিচার্ড তার বক্তব্যে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারে সতর্ক করে বলেন,‘প্রযুক্তিগত কারণে সংগঠিত হওয়া দুর্ঘটনা পরবর্তী আর্থিক সংকট সৃষ্টি করতে পারে।’
এছাড়া এই সম্মেলনে অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ও অগ্রগতির দিক দিয়ে শীর্ষ ১০ দেশের কথা তুলে ধরা হয়। অর্থনৈতিক উন্নতির দিক দিয়ে শীর্ষে আছে নরওয়ে। এরপর আইসল্যান্ড, লুক্সেমবার্গ, সুইজারল্যান্ড, ডেনমার্ক, সুইডেন, নেদারল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও সবশেষে অস্ট্রিয়া।
অন্যদিকে বিশ্বজুড়ে ইতিবাচক প্রভাব বিস্তার করার দিক দিয়ে শীর্ষস্থানে অবস্থান করছে কানাডা। এরপরই আছে অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি, ফ্রান্স, ব্রিটেন, ইউরোপিয় ইউনিয়ন, ভারত, চীন, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ইসরায়েল ও ইরান। দ্য গার্ডিয়ান।