ভিসি অপসারণের দাবিতে আইইউটির শিক্ষক শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
মিল্টন খন্দকার, গাজীপুর : গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজারে অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি) এর সহায়ক প্রতিষ্ঠান ইসলামিক ইউনিভার্সিটির অব টেকনোলোজি (আইইউটি) এর ভিসি অপসারণের দাবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৭টায় ওই প্রতিষ্ঠানে মূল ফটক বন্ধ করে ভেতরে তারা এ বিক্ষোভ শুরু করে। পরে দুপুরে ১২টা ২০ মিনিটে আইইউটির ভিসি ড. মুনাজ আহমেদ নূর তাকে বহনকারী গাড়ি নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতে চাইলে শিক্ষার্থীরা মূল ফটকে তালা মেরে প্লেকার্ড হাতে বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকে। এ সময় গেটের আনসার সদস্যরা ভিসির গাড়ি ঘিরে রাখে এবং দুপুর ১টার দিকে জয়দেবপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বুঝানোর চেষ্টা করে। পরে দুপুর ২টা ২০ মিনিটে ভিসি গাড়ি থেকে নামেন এবং উপস্থিত পুলিশ সদস্য ও এস্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলের সাথে কথা বলেন। তবে এর আগেই পুলিশ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
শিক্ষার্থীরা জানায়, ড.মুনাজ আহমাদ নূর ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে আইইউটির ভাইস-চ্যান্সেলর হিসেবে যোগদান করার পর থেকে এ প্রতিষ্ঠানের প্রতিপত্তি, উৎকর্ষ ও মানদ-ে অবনতি ত্বরান্বিত হয়েছে। এছাড়া সক্ষমতার চেয়ে বেশি ছাত্র নেয়া, হলে সিট দেয়ার ক্ষেত্রে ব্যাপক অনিয়ম, হলে সিট খালি থাকা সত্ত্বেও সিট না দেয়া বেশি টাকা নেয়া সত্ত্বেও হলে সিট না দেয়া, অপরযাপ্ত শিক্ষক, ক্যাফেটরিয়াতে বাড়তি ছাত্রদের ভিড়, খাবার সংকট, মেয়েদের নামাজ পড়ার ব্যবস্থা হঠাৎ করেই বন্ধ, কোনো যৌক্তিক কারণ ছাড়াই টিউশন ফি হাঠাৎ বাড়ানো, অবাস্তব যাতায়াত ব্যবস্থা চালু এবং তা হঠাৎ করে বন্ধ করে দেয়াসহ নানা সমস্যার সৃষ্টি করেছে ভিসি ।
তারা আরও জানায়, শিক্ষাক এবং শিক্ষার্থীদের সকল সমস্যার কথা তুলে ধরে ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে ওআইসির মহাসচিব হি.এ ড. ইউসাফ বিন আহমদ আল ওথাইমেন এর কাছে চিঠির মাধ্যমে অভিযোগ করা হয়েছে। ওই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ওআইসির ৩জন প্রতিনিধি বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে তদন্ত কমিটি তদন্ত করে গেলেও এখনো পর্যন্ত কোনো রিপোর্ট প্রদান করেনি।বিক্ষোভকারীরা আরো জানায়, তারা এক মাসে খাবার নিয়ে ক্যাম্পাসের ভেতরে প্রবেশ করেছে। রিপোর্ট প্রদান এবং ভিসি অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত তারা এ আন্দোলন চালিয়ে যাবে।
এ বিষয়ে ভিসি ড. মুনাজ আহমেদ নূর জানান, কিছু শিক্ষক ও শিক্ষার্থী সম্মিলিতভাবে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তারা ওআইসির মহাসচিব হি.এ ড. ইউসাফ বিন আহমদ আল ওথাইমেন এর কাছে আমার বিরুদ্ধে চিঠির মাধ্যমে অভিযোগ করেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে এবং তদন্ত করা হয়েছে। যারা বিক্ষোভ করছে তারা অন্তত তদন্ত রিপোর্ট পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারতো। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান