‘পররাষ্ট্রমন্ত্রীর চীন সফরে যাওয়া উচিত’
আশিক রহমান : চুক্তি অনুযায়ী নির্দিষ্ট তারিখে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু না হওয়ায় কোনো অনিশ্চয়তা বা অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করি না আমি। কারণ এটা একটা বড় সমস্যা, অনেক বড় ইস্যু। সমাধান প্রক্রিয়ায় কিছু সমস্যা তৈরি হয়েছে মিয়ানমারের কারণে। রোহিঙ্গাদের জন্য যে আবাসন, প্রয়োজনীয় আয়োজনগুলো করা দরকার তা এখনো সম্পন্ন হয়নি। সবকিছু প্রস্তুত হলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হবে বলে আশা করছি। আমাদের অর্থনীতির সঙ্গে আলাপকালে এমন মন্তব্য করেন সাবেক রাষ্ট্রদূত ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ওয়ালিউর রহমান।
তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে উদ্যোগের কোনো ঘাটতি নেই। যারা এমনটি বলছেন বা বলার চেষ্টা করছেন তারা সঠিক বলছে না। তাদের বিবেচনা, বক্তব্য সঠিক নয়। সারাবিশ্ব দেখেছে বাংলাদেশের প্রচেষ্টা। কূটনৈতিক তৎপরতা। সরকারপ্রধান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা সমস্যার সুষ্ঠু সমাধানে জাতিসংঘে কথা বলেছেন। বিশ্বনেতাদের সঙ্গেও কথা বলেছেন। যেখানে যা করা দরকার করছেন। তার ফলেই মিয়ানমারের উপর চাপ সৃষ্টি হয়েছে। রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে রাজি হয়েছে। তাহলে কীভাবে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হলো না সরকারের পক্ষ থেকে।
তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে বাংলাদেশ নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে। বিশেষ করে ভারত-চীন ও রাশিয়ার সঙ্গেও আমাদের যোগাযোগ রয়েছে। তাদের চাপও কাজ করছে মিয়ানমারের উপর। ভারত ও চীন ইতোমধ্যেই ওখানে বাড়িঘর বানাচ্ছে। আমি মনে করি না নির্ধারিত তারিখে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করতে না পারা বড় বাধা। এ নিয়ে ভয়, আতঙ্কিত ও চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। বাংলাদেশ সঠিক পথেই এগোচ্ছে।
ওয়ালিউর রহমান বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে যে দ্বিপাক্ষিক কমিটি গঠন হয়েছে, তা আরও জোরদার করা হোক। যোগাযোগটা যেন আরও জোরালো করা হয়। এবং আমাদের যে ডিটারমিনেশন রোহিঙ্গা ইস্যুতে তা সারা দুনিয়া জানে। এই সমস্যার সুষ্ঠু সমাধানের লক্ষ্যে আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারত সফর করেছিলেন, তা অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে। আমি মনে করি, এখন তার চীন সফরে যাওয়া উচিত। ওখানে গিয়ে তাদের বোঝানো উচিত যতটুকু সুযোগ রয়েছে তা ব্যবহার তোমরা আমাদের সহযোগিতা করো। অথবা বলো, আমাদের কী করতে হবে। একটা এজেন্ডা নিয়ে যেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী চীন সফর করেন। চীন সরকারকে বোঝাতে পারলে সমস্যা সমাধান অনেক সহজ হবে বলেও মনে করেন সাবেক এই কূটনীতিক।