ভিয়েতনাম রাষ্ট্রপতির ঢাকা সফরে দুই দেশের বাণিজ্য বাড়বে: ড্যাং ডিন কুই
স্বপ্না চক্রবর্তী : ভিয়েতনামের রাষ্ট্রপতি ট্রুং তান সাং বাংলাদেশ সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভিয়েতনামের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্কের উন্নয়ন হবে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী এইচ ই ড্যাং ডিন কুই।
তিনি বলেন, কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমরা বাংলাদেশের সাথে প্রতিযোগিতা করলেও কিছু ক্ষেত্রে সহযোগী। তাই আমরা এদেশে আমাদের বিনিয়োগ বাড়াতে চাই। এ সময় তিনি বাংলাদেশে তৈরি পোশাক শিল্প, খাদ্য এবং ওষুধ খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর ঘোষণা দেন।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর এফবিসিসিআইয়ের সম্মেলন কক্ষে দুই দেশের প্রতিনিধি দলের মধ্যে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। দেশ দুটির সম্ভাবনাময় বিভিন্ন বাণিজ্য খাতে বিনিয়োগ স্থাপন এবং দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ব্যবধান কমিয়ে আনার লক্ষ্যে এই সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় জানানো হয় আগামী ৪ থেকে ৬ মার্চ ভিয়েতনামের রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সফর করবেন। এ সময় দুই দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর অংশগ্রহণে ‘বাংলাদেশ-ভিয়েতনাম বিজনেস ফোরাম’ -এর আয়োজন করা হবে। ফোরামে খাতভিত্তিক ‘বিজনেস টু বিজনেস’ আলোচনার মাধ্যমে সম্ভাবনাময় খাতগুলো চিহ্নিত করা এবং সেসব খাতে বিনিয়োগ ও যৌথ বিনিয়োগ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানানো হয়। ভিয়েতনামের উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড্যাং ডিন কুই এর নেতৃত্বে সে দেশের এক বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের সাথে অনুষ্ঠিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. শফিউল ইসলাম (মহিউদ্দিন)। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, সহ-সভাপতি মো. মুনতাকিম আশরাফ, এফবিসিসিআই পরিচালকরা এবং ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত মি. ত্রান ভ্যান খোয়া ও দূতাবাসের কর্মকর্তারা।
এ সময় মো. শফিউল ইসলাম (মহিউদ্দিন) বাংলাদেশ সরকারের আকর্ষণীয় বিনিয়োগ সুবিধা যেমন ট্যাক্স হলিডে, কর্পোরেট কর সুবিধা ইত্যাদি গ্রহণ করে ভিয়েতনাম ব্যবসায়ীদেরকে ইকোনমিক জোনসহ বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
আলোচনায় এফবিসিসিআই পরিচালকরা ভিয়েতনাম রাষ্ট্রপতির বাংলাদেশ সফরের মাধ্যমে সেদেশের ব্যবসা উদ্যোক্তাদের সাথে তথ্যপ্রযুক্তি, ঔষধ, স্বাস্থ্য, বস্ত্র ও তৈরি পোশাক খাতে একযোগ কাজ করার আগ্রহ ব্যক্ত করেন। উল্লেখ্য, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বাংলাদেশ ৬৬.৪৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য ভিয়েতনামে রপ্তানি করে এবং ভিয়েতনাম থেকে ৪১২.২০ মিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করে। ভিয়েতনামে বাংলাদেশের রপ্তানিযোগ্য পণ্যগুলো হলো কৃষিজাত পণ্য, পাট ও চামড়াজাত পণ্য, হিমায়িত খাদ্য এবং ঔষধ সামগ্রী। আর ভিয়েতনাম থেকে খনিজ দ্রব্য, বস্ত্র ও বস্ত্র সামগ্রী, যন্ত্রপাতি ও প্লাস্টিক আমদানি করা হয়। সম্পাদনা : আনিস রহমান