ছিনতাই ঠেকাতে পারছেনা পুলিশ থানায় যেতে ভুক্তভোগীদের অনীহা
মাসুদ আলম : প্রতিদিনই রাজধানীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। নৃশংস হয়ে উঠেছে ছিনতাইকারীরা। ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে প্রাণ হারাচ্ছে শিশু, যুবক, নারীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ। একের পর এক প্রাণহানি ঘটলেও ছিনতাইকারীদের ঠেকাতে পারছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। পুলিশী ঝামেলা এড়াতে ছিনতাইয়ের শিকার ভুক্তভোগীরা থানায় যেতেও অনীহা প্রকাশ করে থাকে। তবে চাঞ্চল্যকর ঘটনা হলেই তৎপর হয় পুলিশ।
গত সোমবার রাজধানীতে ছিনতাইকারীর কবলে পড়েছেন ৪ গণমাধ্যমকর্মী। এদের মধ্যে দ্’ুজন নারী রয়েছেন। এছাড়া গত শুক্রবার ভোরে গে-ারিয়া মো.ইব্রাহিম নামে এক ব্যবসায়িকে কুপিয়ে হত্যা করে ছিনতাইকারীরা। একই দিন ধানম-িতে ছিনতাইকারী দলের গাড়ি চাপায় পিষ্ট হয়ে নিহত হয়েছেন হেলেনা বেগম নামের এক হাসপাতালকর্মী। হেলেনা নিহতের পাঁচদিন পেরিয়ে গেলেও কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় থানায় কোনো মামলাও করা হয়নি। গত দুই মাসে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অন্তত ২শতাধিক ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। ছিনতাইয়ের অভিযোগ নিয়ে থানায় গেলে পুলিশ মামলা না নিয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার পরামর্শ দেয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে হারানো জিডি করা হয়। গত ৪ ডিসেম্বর সকালে দয়াগঞ্জ এলাকায় ছিনতাইকারীদের হ্যাঁচকা টানে মায়ের কোল থেকে পড়ে প্রাণ হারায় ছয় মাসের শিশু আরাফাত। মা তার সন্তানকে নিয়ে কোলে নিয়ে রিকশায় করে বাসায় ফিরছিলেন। গত ৫ ডিসেম্বর একইভাবে ছিনতাইয়ের শিকার হয়ে মারা যান জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের জুনিয়র কনসালট্যান্ট অধ্যাপক ফরহাদ আলম (৪০)।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান বলেন, ছিনতাইকারীরা প্রকাশ্যে ছিনতাই করছেনা। সুযোগ বুঝে ছিনতাই করছে। শুধু র্যাবের পক্ষে ছিনতাই দমন করা সম্ভব নয়। গত কয়েকদিন আগে র্যাব বড় ধরনের ছিনতাইকারী চক্রের সদ্যসকে আটক করেছে। সম্পাদনা : ইয়াছির আরাফাত