৬ জঙ্গির উপর নজরদারি ইন্টেলিজেন্স উইংয়ের
ইসমাঈল হুসাইন ইমু ও মাসুদ আলম : পয়লা বৈশাখ বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে নেয়া হয়েছিল নজিরবিহিন নিরাপত্তা। ৫টার মধ্যে অনুষ্ঠান শেষ করার নির্দেশনা দিয়েছিল ডিএমপি। গত দুর্গাপূজায় ম-পের আশপাশে মেলা না করার পরামর্শ দিয়েছিল ঢাকা মহানগর পুলিশ। ২৫ ডিসেম্বর বড়দিনেও রাজধানীসহ দেশজুড়ে নিñিদ্র নিরাপত্তাবলয় গড়ে তোলা হয়। আর থার্টিফার্স্ট নাইটে এমন কাটছাট ও নগরজুড়ে পুলিশের চেকপোস্টে সাধারণের ভোগান্তির সৃষ্টি হয়। এসব উৎসবে জঙ্গি হামলার হুমকি ছিল। পুলিশ তা প্রকাশ না করে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়। পুলিশ ও গোয়েন্দা তৎপরতায় ভেস্তে যায় জঙ্গি হামলার মিশন।
গোয়েন্দা সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রমতে, মেজর জিয়া ছাড়া উল্লেখযোগ্য আর কেউ এখন অধরা নেই। গত এক বছরের অভিযানে মাস্টারমাইন্ড জঙ্গি তামিম চৌধুরীসহ কমপক্ষে ৫৩ জঙ্গি নিহত হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে আরো অর্ধশত জঙ্গি। তবে এখনো ৬ জঙ্গি নড়াচড়া করার আভাস পেয়েছে গোয়েন্দারা। তারা গোয়েন্দা নেটওয়ার্কের মধ্যে আছে। কোনো পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করলে ধরা পড়ে যাবে।
এই গোয়েন্দা নেটওয়ার্কের বাইরেও এখনো দেশের বিভিন্নস্থানে জঙ্গিরা ঘাপটি মেরে আছে। এরা যেকোনো সময় নাশকতামূলক তৎপরতায় লিপ্ত হতে পারে। জঙ্গি নেটওয়ার্কের বাইরে থাকা জঙ্গিদের নিয়ে অনেকটা উদ্বিগ্ন সংশ্লিষ্ট মহল। এর কারণ হিসেবে তারা বলেছেন, জঙ্গিবাদ একটি চেতনা। এরা নেশার মতো চেতনায় উদ্ধুদ্ধ। কোমলমতি তরুণদের ব্রেনওয়াশ করে জঙ্গিবাদে ঢোকানো হয়। এরা সিøপার সেলের মাধ্যমে তথাকথিত মুরতাদ কাফের আখ্যা দিয়ে মাঠে নামে। সম্পাদনা : হাসিবুল ফারুক চৌধুরী