ডেকে নিয়ে শ্রমিকদের ওপর হামলা করেছে বিজিএমইএ ট্রেড ইউনিয়নের অভিযোগ
স্বপ্না চক্রবর্তী : বেআইনিভাবে বন্ধ ঘোষিত আশিয়ানা গার্মেন্টস কারখানার শ্রমিকদের আলোচনায় ডেকে বিজিএমইএ হামলা করেছে বলে অভিযোগ করেছে শ্রমিকদের সংগঠন ট্রেড ইউনিয়ন। এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে তারা। সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি জানায়, এই হামলার ঘটনায় ৩৭ জন শ্রমিক গুরুতর আহত হয়েছেন। তারা ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন।
গতকাল বুধবার এক বিবৃতিতে সংগঠনটির সভাপতি অ্যাড. মন্টু ঘোষ এবং সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার জানান, গত ২০১৬ সালের মে মাসে আশিয়ানা গার্মেন্ট কারখানার শ্রমিকরা একটি ইউনিয়ন গঠন করে। তা নিবন্ধনের জন্য সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরে জমা দেয়ার পর থেকেই নেতৃস্থানীয় শ্রমিকদের চাকুরিচ্যুত করার প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে একাধিকবার শ্রম মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট দুটি প্রতিষ্ঠানে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও ২৯ জানুয়ারি এক শ্রমিককে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে তাৎক্ষণিক চাকরিচ্যুত করা হলে কারখানার শ্রমিকরা এর প্রতিবাদ জানায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৩০ জানুয়ারি সকাল থেকে মালিকপক্ষ সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগে এবং বেআইনিভাবে কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে। এতে করে শ্রমিকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে রাস্তা অবরোধ করে রাখে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে শ্রমিক প্রতিনিধি, গার্মেন্ট শ্রমিক টিইউসি’র নেতৃবৃন্দকে ডেকে স্থানীয় প্রশাসন, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা এবং মালিকপক্ষ গতকাল সকাল ১১টায় বিজিএমইএ ভবনে আলোচনার জন্য আহ্বান জানায়। সেই আহ্বানে সকাল থেকেই বিজিএমইএ ভবনে শ্রমিকরা উপস্থিত হয়েছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই সংগঠনের বিজিএমইএ-এর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা শ্রমিকদের জানান সভা হবে না। ফলে শ্রমিকরা বিজিএমইএর সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। কিন্তু এক পর্যায়ে বিজিএমইএ-র সিনিয়র অতিরিক্ত সচিব মনসুর খালেদের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। এসময় মাইক্রোফোনের তার ছিড়ে ফেলা এবং ব্যানার কেড়ে নেয়ার ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে ভবনের ভেতর থেকে শতাধিক ব্যক্তি লোহার রড ও লাঠি শোঠাসহ শ্রমিকদের ওপর হামলা করে।
এই ঘটনায় অভিযুক্ত বিজিএমইএ’র সিনিয়র অতিরিক্ত সচিব মনসুর খালেদের বক্তব্য নেয়ার জন্য তার সাথে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। সম্পাদনা : আনিস রহমান