নতুন মুদ্রানীতি বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ ব্যাহত করবে
জাফর আহমদ : মুদ্রানীতির প্রভাবে ব্যাংকিং খাতে সুদের হার বেড়েছে। এ ফলে মুহূর্তে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে গেল ছোট এবং মাঝারি শিল্পের জন্য। এতে বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হবে বলে মনে করেন তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি সিদ্দিুকর রহমান। ফোনে এই প্রতিবেদককে তিনি বলেন, মুদ্রানীতি ঘোষণার পর গ্রাহক পর্যায়ে সুদ বেড়েছে। এর মানে হলো আমাদের এতদিনের যে দাবি, বিতরণ পর্যায়ে সিঙ্গেল ডিজিট রাখা, এর চেষ্টাও করা হয়েছিল। কিন্তু তা মাত্র কয়েকদিন কার্যকর ছিল। আবার তা ১২/১৩ শতাংশ করা হয়েছে। এর ফলে শিল্পায়নে আমাদের প্রত্যাশা পূরণ হলো না। এই সুদ দিয়ে কোনো ব্যবসায়ীর ব্যবসা করা সম্ভব নয়। যদি কারো পকেটে থাকে তাহলে তা আলাদা কথা।
তিনি বলেন, মুদ্রানীতি ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে মুদ্রাবাজারে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। সুদ হার বেড়ে গেছে। এর ফলে বিনিয়োগাকারীরা শেয়ারবাজারে মার খাচ্ছে, আবার ব্যাংকিং খাতেও মার খাচ্ছে। এতে শিল্পায়ানের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের যে প্রতিশ্রুতি আছে তা ব্যাহত হবে। ২০২১ সালের মধ্যে মধ্য আয়ের দেশ হওয়ার লক্ষ্য আছে তা-ও ব্যাহত হবে। মুদ্রার বিনিময় হার মুদ্রার নিজস্ব গতিতে চলতে দেওয়া উচিত। ডিসিসিআইর সাবেক সভাপতি ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসেন খালেদ বলেন, মুদ্রানীতিতে ব্যবসা বাণিজ্যকে প্রটেকশন দেওয়ার কথা। কিন্তু যদি সুদ বেড়ে যায় তাহলে ব্যবসা বাণিজ্যের সমস্যা হবে। এরইমধ্যে ২ শতাংশ বেড়েছে। ব্যাংকিং খাতে তারল্য কমে গেছে। আমানত সংগ্রহের জন্য বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো প্রযোগিতা করছে। ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রেও এর প্রভাব পড়ছে। তিনি বলেন, চলতি বছরে বড় বড় প্রকল্প অভ্যন্তরীণ অর্থায়নে করার কথা। এর ফলে ব্যাংকিং খাতে ঋণের টান পড়ে যেতে পারে। বেড়ে যেতে পারে সুদ হার। আমরা আশা করব, বেসরকারি খাতে যতটুকু ঋণের প্রয়োজন তা নিরূপন করে, রিজার্ভ রেখে অতিরিক্ত ঋণ যেন অন্য প্রকল্পে দেয়। তা নাহলে যে সুদ হার দাঁড়াবে তা দিয়ে শিল্পায়ন করা সম্ভব নয়। সম্পাদনা : হাসিবুল ফারুক চেšধুরী