মানব পাচারকারী গ্রেফতারে দেশজুড়ে জার্মান পুলিশের অভিযান
ইমরুল শাহেদ : জার্মান পুলিশ গতকাল বুধবার মানব পাচারকারীদের সম্পদের উপর হানা দিয়েছে এবং দেশজুড়ে ঝটিকা অভিযানে ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশের টুইটে বলা হয়েছে, তারা বার্লিন, ব্রেমেন, নর্থ রাইন-ওয়েস্টফালিয়া এবং সেক্সসনিতে এই গ্রেফতার অভিযান পরিচালনা করেছেন। তবে গ্রেফতার হওয়াদের তিন জন হলেন তুরস্ক, পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়ার নাগরিক। রয়টার্স, আরটি
এই অভিযানের তদন্তকারীরা মনে করেন, মানবপাচারকারীরা ২০১৭ সালের গ্রীস্ম ও বসন্তকালে ১৬০ জন অভিবাসীকে জার্মানিতে পাচার করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, তাদেরকে ট্রাকের পণ্যদ্রব্যে ও ইট-পাথরের মধ্যে লুকিয়ে পাচার করা হয়।
জার্মানিতে অভিবাসী ইস্যুটিকে রাজনৈতিক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ২০১৫ ও ২০১৬ সালে চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল ১০ লাখ অভিবাসী ও শরণার্থী গ্রহণের জন্য জার্মানিকে উন্মুক্ত করে দিয়েছিল। পুলিশ বলেছে, প্রতি অভিবাসীর কাছ থেকে ৮ হাজার ইউরো নিয়ে বলকান অঞ্চলের লোকদের পোল্যান্ড ও চেক প্রজাতন্ত্রের মধ্য দিয়ে জার্মানিতে নিয়ে আসে মানবপাচারকারীরা।
এর আগে ২০১৬ সালে অস্ট্রিয়ার সীমান্ত থেকে প্রায় ৯০০ মানব পাচারকারীকে আটক করেছে জার্মান পুলিশ। জার্মানির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েল্ট এ্যাম সনট্যাগ-এর তথ্য-উপাত্ত থেকে এ তথ্য জানা গেছে। তবে এর মধ্যে অস্ট্রিয়ার সীমান্ত থেকে ২০১৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত গ্রেফতার হওয়াদের মধ্যে ৪৮১ জন চোরাকারবারি। এছাড়া পোল্যান্ড সীমান্ত থেকে ১৫৫ জন এবং চেক সীমান্ত থেকে ১০৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বেলজিয়াম সীমান্ত থেকে গ্রেফতার হয়েছেন ৪৫ জন। অবশিষ্ট ৯০ জন পাচারকারীকে আটক করা হয়েছে ফ্রান্স থেকে জার্মানিতে প্রবেশের সময়। জার্মান বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বিভাগও গ্রেফতার করেছে ২৩ জনকে।
মানব পাচারকারীদের মধ্যে রয়েছে সিরিয়া, পোল্যান্ড, জার্মান, ইরাক ও রাশিয়ার নাগরিক।