‘ফেসবুক বন্ধে অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা’
তরিকুল ইসলাম সুমন : এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ফেসবুক বন্ধের বিষয়ে অবস্থা বুঝে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকানোর বিষয়ে আরও ইফেক্টিভ কাজ করবে তারা। পাশাপাশি পরীক্ষার্থীদের ৩০ মিনিট আগে নির্দিষ্ট আসনে বসা নিশ্চিত করাসহ এসময়ে সহিংস রাজনৈতিক কর্মসূচি পরিহারে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। গতকাল সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, আমরা এখনই ফেসবুক বন্ধ করতে বলিনি। বন্ধ করার ক্ষমতাও আমাদের নেই। ফেসবুকের ব্যাপারে বিটিআরসির চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ করেছি। প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রশ্নপ্রত্র ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা প্রতিহতের ব্যাপারে বিটিআরসি আমাদের সাহায্য করার কথা জানিয়েছেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিক সহিংস কর্মসূচির কারণে পাবলিক পরীক্ষা ধারাবাহিকভাবে আয়োজনে এর আগে ব্যাঘাত ঘটেছিল। পরবর্তীতে সরকারি ছুটির দিনগুলোতে পরীক্ষার আয়োজন করা হয়েছিল। আশা করি এবার ২০ লাখের বেশি শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ জীবনের কথা বিবেচনায় নিয়ে এমন কোনো কর্মসূচি আপনারা দেবেন না, যাতে পরীক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
কোচিং সেন্টার বন্ধ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, এগুলো পরীক্ষা শুরুর সাতদিন আগে বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে যদি কেউ কোচিং সেন্টার চালান তবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোচিং সেন্টার স্থায়ীভাবে বন্ধ করার চিন্তা আছে। এ বিষয়ে উচ্চ আদালতেরও নির্দেশনা রয়েছে। শিক্ষা আইন হলেই কোচিং সেন্টারগুলো স্থায়ীভাবে বন্ধের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কেন্দ্র সচিবদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য ছবি তোলা ও নেট ব্যবহার করা যায় না এমন ফোন ব্যবহার করবেন। এছাড়াও প্রশ্নপত্র আনা ও কেন্দ্রে প্যাকেট খোলার সময়ে সতর্ক থাকতে হবে। এ সংক্রান্ত কমিটির সামনে পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে সিলগালা করা প্যাকেট খুলতে হবে। এর ব্যত্যয় হলে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র সচিবের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অনুমোদিত ভিজিটররাও স্মার্ট ফোন নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না বলে জানান মন্ত্রী। সম্পাদনা : নূর মোহাম্মদ