রাতেই ঘোষণা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের আবারো রাষ্ট্রপতি হতে যাচ্ছেন আবদুল হামিদ
উম্মুল ওয়ারা সুইটি : দ্বিতীয় মেয়াদে রাষ্ট্রপতি হচ্ছেন অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ। আগামী সংসদ নির্বাচন, ষোড়শ সংশোধনী নিয়ে সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার পর্যবেক্ষনসহ এই সংক্রান্ত বিষয়ে জটিল সমস্যার সমাধান এবং গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ভূমিকার রাখার কারণেই আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে।
আওয়ামী লীগ দলীয় সূত্র জানিয়েছে, শেখ হাসিনাসহ দলের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা আবদুল হামিদের মেয়াদ বাড়ানোর ব্যাপারে সবাই ইতিবাচক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। গত শনিবার ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্টের জোকো উইদোদোর সম্মানে বঙ্গভবনে আয়োজিত নৈশ ভোজে শেখ হাসিনা এরকম ইঙ্গিত দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
দলীয় সূত্র বলছে, আবদুল হামিদের বিষয়টি নিশ্চিত। আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ডের সভা থেকে নাম ঘোষণা করা হবে। এই রিপোর্ট লেখার পর গতরাত ৮টায় শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ডের সভা শুরু হয়।
জানা গেছে, গত এক বছর ধরেই পরবর্তী রাষ্ট্রপতি নিয়ে দলে জল্পনা কল্পনা চলে আসছে। অনেকের নামও আলোচনায় এসেছে। এ নিয়ে দলের নীতি নির্ধারনী পর্যায়ের নেতারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেছেন। তবে বেশির ভাগ নেতাই মনে করেন, নির্বাচনের আগে এই পরিবর্তন না হলেই ভালো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রপতি পদে আরেক মেয়াদে থেকে যেতে আবদুল হামিদকে অনুরোধ জানিয়েছেন।
দলের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেছেন, দলের একটি ছোট অংশ রাষ্ট্রপতি পরিবর্তনের পক্ষে। তবে বেশিরভাগ নেতাই চান, আবদুল হামিদ দ্বিতীয় মেয়াদে রাষ্ট্রপতি থাকুক। আবদুল হামিদের সঙ্গে সবারই একটা সখ্যতা রয়েছে। তিনি আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর খুবই আস্থাভাজন। বিভিন্ন ইস্যুতে পরামর্শ দেওয়ার মতো দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। যে কোন ধরণের পরিস্থিতি তিনি মোকাবেলা করতে পারবেন।
আরেকজন প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, নির্বাচনকালীন সরকার ইস্যুতে বিএনপিসহ অনেক রাজনৈতিক দল আন্দোলন করার কথা বলছে। সেই ক্ষেত্রে সংলাপের বিষয় আসতে পারে। আবদুল হামিদ শুধু আওয়ামী লীগেই নয় সব রাজনৈতিক দলের কাছে বেশ গ্রহনযোগ্য। আবদুল হামিদ আওয়ামী লীগের পরীক্ষিত নেতা। আবার দলের প্রতি আনুগত্য থাকলেও তিনি এই পদটিকে দলীয়করণের ঊর্ধ্বে রাখতে পেরেছেন বলেই ধারণা করা হয়। আর বিরোধী দলগুলোর পক্ষ থেকে।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল বাংলাদেশের ২০তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন। তার পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হবে ২৩ এপ্রিলে। সংসদে বর্তমানে আওয়ামী লীগের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় তাদের ইচ্ছাতেই নির্বাচিত হবেন রাষ্ট্রপতি।
বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আশরাফ, স্পিকার শিরীন শারমীন চৌধুরী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীসহ বেশ কিছু নাম গণমাধ্যমে আসছে।