দুনিয়া ও আখেরাতের সাফল্যের চাবিকাঠি
মুনশি মুহাম্মদ আবু দারদা
দুনিয়াতে সকল মানুষই সফলতা চায়, হোক সেটা দুনিয়ার লাইনে অথবা আখেরাতের লাইনে! আর জান্নাতে কে না যাইতে চাই? দুনিয়াতে সুখ শান্তি সাচ্ছন্দ কে না চায়? তো কেউ যদি সফলতা চায় অথবা পরকালে মুক্তি দুনিয়াতে সফলতা চায়! আল্লাহ পাক তাকে তিন সিফাতে গুনান্বিত হওয়ার জন্য ডাক দিছেন! যে এই তিন গুনে গুনান্বিত হবে আল্লাহ তায়ালা তাকে দুনিয়াতে সফলতা এবং আখেরাতের মুক্তির সনদ দান করবেন! প্রথম সিফাত হল: আল্লাহ তায়ালা কোরআনে বলেন, হে মুমিনেরা তোমারা আল্লাহ কে ভয় করো! তোমাদের অন্তর যেনো আল্লাহর ভয়ে প্রকম্পিত থাকে! এই তাকওয়ার গুণ তোমাদের মধ্যে অর্জন করো! আর এই তাকওয়ার পরিমাণটা কি হবে রাব্বুল আলামিন এক আয়াতে বলেন! আল্লাহর ভয়ে হক আদায় করে করো অর্থাৎ ভয় করার মতো করো! এটা শুনে সাহাবা কেরাম ফেরেশান হয়ে গেছে! সাহাবা কেরাম বললেন, ইয়া রাসুল আল্লাহ্ হক আদায় কেমনে করবো একি আমাদের পক্ষে সম্ভাব? তখন রাব্বুল আলামিন মেহেরবানি করে আয়াত নাজিল করছেন! আচ্ছা ঠিক আছে যতটুকু তোমাদের সমর্থে আছে ততোটুকু ভয় কর! আর যেখানেই থাকো মনে করবে আল্লাহ আমাকে দেখছেন।
দ্বিতীয় গুণ হল: তোমরা আল্লাহ পর্যন্ত পৌঁছার জন্য ওছিলা বা মাধ্যম তালাশ করো! সে মাধ্যম কি? মুফাসসিরিন কেরাম বলেন! নফল যতো পারো আদায় করো। এটা হলো আল্লাহ পাকের নৈকট্য অর্জন করার মাধ্যম! আর যে গুলো আল্লাহ পাকের হুকুম যেমন ফারায়েজ ওয়াজিব এতো করতেই হবে এটা না করলে তো মার খেতে হবে! শাস্তির হুমকি আসছে! কিন্ত নফল যে যতো বেশি আদায় করে তার দ্বারা আল্লাহ পাকের নেক নজর পেয়ে যায়! আল্লাহর নৈকট্য অর্জন হয়, তো এই জন্য যে যতো বেশি নফল ইবাদত আদায় করে সে আল্লাহর ততো নৈকট্য অর্জন করে!
তৃতীয় গুণ হল: দিনের এই রাস্তায় চলতে গিয়ে মুজাহাদা করতে হবে! যদি আল্লাহ পর্যন্ত পৌঁছতে গিয়ে, দুনিয়ার সব কিছু ছাড়তে হয়, আমার ব্যবসায় কিছু ক্ষতিও হয়, আমার চাকরির কিছু ক্ষতি হয়!