‘জঙ্গিবাদ দমনে হত্যা কোন সমাধান নয়’
ফাহিম ফয়সাল : ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেছেন, তরুণদের মধ্যে জঙ্গিবাদ, মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ উঠছে। তবে মনে রাখতে হবে গ্রেফতার বা হত্যাই জঙ্গিবাদ দমনে কোন সমাধান নয়। গতকাল পাবলিক পার্লামেন্ট জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জঙ্গিবাদের প্রতি যারা ঝুকে পড়ছে বলে মনে হয়, তাদের কাউন্সেলিং করা দরকার। অধিক পরিমাণে সামাজিক-সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা যেমন খেলাধুলা, বিতর্ক প্রভৃতির আয়োজন করা প্রয়োজন। ইসলামী স্কলার, পুরোহিত, যাজক, শিক্ষক, বাবা-মা, জনপ্রতিনিধিসহ সকলকে জঙ্গিবাদ দমনে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বিতর্ক হলো সমাজের দর্পন। সমাজে যত যুক্তির লড়াই হবে ততই সমাজ আলোকিত হবে। আলোকিত সমাজ গড়তে যুক্তিশীল মানুষের কোন বিকল্প নেই। যুক্তি-তর্কের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য বেরিয়ে আসে। এতে সমাজ-রাষ্ট্র উপকৃত হয়, দেশ এগিয়ে যায়। কিরণ বলেন, বিতর্ক চর্চাকে ছড়িয়ে দিতে পাঠ্যপুস্তকে এর অন্তর্ভুক্তকরণ করা উচিত।
একই সাথে শিল্পকলা একাডেমীর আদলে একটি জাতীয় বিতর্ক একাডেমি গড়ে তোলা প্রয়োজন।
তাহলে এর চর্চা সর্বোত্র ছড়িয়ে দেয়া সম্ভব।
ড. মাহফুজুর রহমান বলেন, তরুণরাই একদিন আগামী দিনের নীতি-নির্ধারক হয়ে দেশ পরিচালনা করবে। তাদের হাতেই ভবিষ্যত। তাই তাদের নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে হবে। এক্ষেত্রে বিতর্ক প্রতিযোগিতার মত সাংস্কৃতিক চর্চাগুলো বড় ভূমিকা রাখতে পারে। তিনি বিতার্কিকসহ তরুণ সমাজের সকলকে মা-বাবা ও শিক্ষকদের সদা সম্মান জানানোর পরামর্শ দিয়ে বলেন, কেবল সম্মান প্রদানের মাধ্যমেই সমাজে সম্মান অর্জন করা যায়।
২০১৭ সালে অনুষ্ঠিত এই পাবলিক পার্লামেন্ট বিতর্ক প্রতিযোগিতায় সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে ৩২টি বিশ^বিদ্যালয় অংশগ্রহণ করেছে। বছরব্যাপী আয়োজিত এই ইউসিবি পাবলিক পার্লামেন্ট বিতর্ক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয় ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। রানার আপ ও তৃতীয় স্থান অধিকার করে যথাক্রমে বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন এন্ড টেকনোলজি এবং প্রাইম ইউনিভার্সিটি।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ট্রফি, ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট ও নগদ অর্থ হিসেবে চ্যাম্পিয়ন দলকে ২ লক্ষ, রানার আপ দলকে ১ লক্ষ এবং ২য় রানার আপ দলকে ৫০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়।