যারা খাদ্যে ভেজাল দেয় তাদের মৃত্যুদন্ড দেওয়া উচিত কমরেড খালেকুজ্জামান
যারা খাদ্যে ভেজাল দেয় তাদের মৃত্যুদন্ডের কথা বলছেন অনেকেই। মৃত্যুদন্ডের চেয়ে বড় বিষয় হলো, যাতে মানুষ ভেজাল মুক্ত খাবার খেতে পারে সেই ব্যবস্থাটা করা। গণসচেতনতা সৃষ্টি করা। খাদ্য দ্রব্য উৎপাদন, পরিবহন ও বিক্রয়, বিলি বন্টন, প্রক্রিয়াজাতকরণ এই সমস্ত কিছুর উপর নজরদারী রাখতে হবে। এই সব কিছু সঠিকভাবে করা দরকার। এর পাশাপাশি শিক্ষার মধ্যে খাদ্য ভেজাল মুক্ত রাখার জন্য, শিক্ষা ব্যবস্থাতে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে নাগরিক সচেতনতা তৈরি করা দরকার। জনগণের মধ্যে প্রচার মাধ্যমে সেই বিষয় সম্বন্ধে সচেতনতা সৃষ্টি করা দরকার। খাদ্যমান নিয়ন্ত্রণ করার যে দফতরগুলো আছে বিএসটিআই সহ, তাদের কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করে তোলা দরকার, যাতে তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি পায়, কর্মতৎপরতা বাড়ে। খাদ্যে ভেজাল ধরার জন্য সারা দেশের সমস্ত জেলায় অন্ততঃ পরীক্ষাগার তৈরি করা জরুরি। সেজন্য জনগণ যাতে এর সমন্ধে জানতে পারে সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে। এটাকে আরো তৎপর করা জরুরি। কারণ, শুধুমাত্র শাস্তি দিলেই যে সেটা নিরাপদ হয়ে যাবে, খাদ্যে আর ভেজাল হবে না, এমনটি নয়। তার সঙ্গে যে আয়োজনটা দরকার, সেটা হল সাধারণ মানুষের। বিশেষ করে, তার থাকার ব্যবস্থা, আসবাব পত্র, খাদ্য গ্রহণ, দারিদ্র সবকিছু বিবেচনার মধ্যে আনতে হবে। নিরাপদ খাদ্য বলতে একজন মানুষের আয়, নিজের পুষ্টি গ্রহণের জন্য এবং ভেজাল মুক্ত খাবার যেন সে খেতে পারে, তার ব্যবস্থা করা। তার আর্থিক সঙ্কট যদি দারিদ্র সীমার নিচে থাকে, খাদ্যই তো তার জুটবে না। তার শারীরিক সক্ষমতার জন্য, দেহের পুষ্টির জন্য কম অর্থে নিরাপদ খাদ্যের ব্যবস্থা করা লাগবে। এব্যাপরে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা দরকার। শিক্ষার মাধ্যমে সচেতনতা সৃষ্টি করা দরকার। সেই ক্ষেত্রে নিরোধক ব্যবস্থা রাখা, যাতে খাদ্যে ভেজাল না হয়।
পরিচিতি : সাধারণ সম্পাদক, বাসদ
মতামত গ্রহণ : সানিম আহমেদ/সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ