দুই কোরিয়াকে এক সুতোয় বাঁধলো অলিম্পিক
আক্তারুজ্জামান : এবার খেলাধুলাই এক সুতোয় গাঁথলো বৈরিতার দুই দেশ উত্তর কোরিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়াকে। উভয় দেশের অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের উদ্যোগে দুই কোরিয়ার মাঝে স্থাপন হলো বন্ধুত্বের সেতু।
আসন্ন শীতকালীন অলিম্পিক সামনে রেখে উত্তর কোরিয়ায় দুদেশের অ্যাথলেটদের যৌথ অনুশীলন ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছে। আর এই যৌথ অনুশীলন ক্যাম্পে বৈরি সম্পর্ক ভুলে প্রস্তুতি ম্যাচে অংশ নিয়েছেন দুই দেশের ৩০ জন অ্যাথলেট।
উত্তর কোরিয়ার একের পর এক পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানোয় হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছিলো এবারের গেমসের আয়োজন। তবে গত একমাস ধরে বেশকিছু আলোচনার পর অবশেষে গলেছে বিদ্বেষের বরফ।
কয়েকদিন আগেও দু’দেশের মধ্যে সাপে-নেউলে সম্পর্ক ছিল। কিন্তু আন্তর্জাতিক খেলাধুলার জগতে সবচেয়ে বড় আসর অলিম্পিক গেমস এই দুই দেশকে নিয়ে এসেছে একই ছাদের নিচে। উত্তর কোরিয়াতে দু’দিনের অনুশীলন ক্যাম্পে অংশ নিয়েছেন দু’দেশের ৩০ জন অ্যাথলেট।
বরফে ঢাকা পাহাড়ে ঘেরা স্কেটিং ফিল্ডে আয়োজন করা হয় প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচের। যেখানে ফলাফল নয়, সম্প্রীতিই ছিলো বড় বিষয়। দু’দেশের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন দু’দেশের ক্রীড়াবিদরা।
দুই কোরিয়ার এই অভাবনীয় উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে উত্তর কোরিয়ার অ্যাথলেট চৈ সো ইয়ন বলেন, ‘এটা সত্যিই প্রশংসনীয় একটি উদ্যোগ। এর মধ্যে দিয়ে আমি মনে করি আমাদের মধ্যে দারুণ বোঝাপড়া তৈরি হবে। প্রতিযোগিতা চলাকালীন এ সম্পর্ক আমাদের ভাল খেলতে উৎসাহ যোগাবে।’
এরপর দক্ষিণ কোরিয়ার লি জো তাই বলেন, ‘আমি বিস্মিত! এরা (উত্তর কোরিয়ার খেলোয়াড়রা) দারুণ একটি পরিবেশে অনুশীলন করছে। ওদের পারফরমেন্স বেশ ভাল। একসঙ্গে আমরা অনেক আনন্দ করেছি।’
তবে নানা জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার পায়ংচ্যাংয়ে আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি আলোর মুখ দেখবে শীতকালীন অলিম্পিক গেমস। এবারের আসরে ১৫টি ডিসিপ্লিনে ১০২টি ইভেন্টে পদকের জন্য লড়বেন ৯২ টি দেশের প্রতিযোগীরা। প্রতিযোগীতাটি চলবে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সম্পাদনা : মোহাম্মদ রকিব হোসেন