‘সুগঠিত নয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর’
সুজন কৈরী : মাদক নিয়ন্ত্রণে গঠিত হলেও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর (ডিএনসি) সুগঠিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন সংস্থাটির মহাপরিচালক (ডিজি) মো. জামাল উদ্দিন আহমেদ। গতকাল রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ডিএনসির প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই মন্তব্য করেন তিনি। নারায়ণগঞ্জে ইয়াবা তৈরির কারখানার সন্ধানসহ রাজধানী থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও বিভিন্ন মাদকসহ ৩৬ জনকে আটকের ঘটনায় সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ডিএনসি।
জামাল উদ্দিন বলেন, পুলিশ-র্যাব ও বিজিবিসহ অন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে মিলে যৌথভাবে অভিযান চালানো হলে মাদক নির্মূল করা সম্ভব হতে পারে। আমাদের লোকবল সংকট রয়েছে। ১৭৬০ জনের জনবল কাঠামো রয়েছে। তবে কাজ করে ১১৯১ জন। এর মধ্যে ২৩৬ জন আউট সোর্সিং হিসেবে কাজ করে। আমরা সরকারের কাছে ৮ হাজার ৫০৫ জনের একটি জনবল কাঠামো পাঠিয়েছি। বর্তমানে মোটরসাইকেলসহ অধিদফতরের মোট ৫১টি যানবাহন রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এজন্য ৫০টি যানবাহনের একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সময়ে সময়ে তালিকার পরিবর্তন হয়। তবে সরকারের নির্দেশে আমরা একটি তালিকা প্রণয়ন করছি। যা আগামী ১৫ দিনের মধ্যে হবে বলে আশা প্রকাশ করছি। মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতারে অধিদফতরের আইনের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। জামাল উদ্দিন বলেন, মাদকের আগ্রাসন বাড়ছে। অভ্যন্তরীণ চাহিদা সৃষ্টি হলে মাদকের সরবরাহ বৃদ্ধি পায়। তবে আমাদের অভিযানের সংখ্যা বেড়েছে। পাশাপাশি আমাদের মামলার সংখ্যাও এর সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের সংখ্যা বেড়েছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী রাজধানীর বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদক, ৮ রাউন্ড গুলিসহ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়। আটকদের মধ্যে ১০ পথশিশুসহ ১৯ জনকে মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। অপরদিকে নারায়ণগঞ্জ বন্দরের হরিপুর এলাকায় একটি ইয়াবা তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়েছে ডিএনসি। ওই কারখানা থেকে ইয়াবা ট্যাবলেট ও তা তৈরির মূল উপাদান- সিডিওফেড্রিনসহ বিভিন্ন ক্যামিকেল, ৩টি ডাইস মেশিন, পাউডারসহ অন্যান্য সরঞ্জামাদি জব্ধ করা হয়েছে। এ সময় লাকী আক্তার নামের এক নারীকে আটক করা হয়। এ বিষয়ে জামাল উদ্দিন বলেন, হাবিবুর ছোট পরিসরে ইয়াবা তৈরির কারখানা পরিচালনা করতো। কারখানাটি সম্পূর্ণ সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় ছিলো। সম্পাদনা : শাহানুজ্জামান টিটু