সঠিক তথ্য হালনাগাদ করে জানাতে পারলে শেয়ারবাজার নিরাপদ থাকবে রাজেকুজ্জামান রতন
শেয়ার বাজারকে বাংলায় সবসময় বলা হয়, ফটকা বাজার এবং এটা সবসময় নির্ভর করে খবরের উপরে। কোন সত্য খবরের চাইতেও প্রচারিত খবরের দ্বারাই শেয়ার ব্যবসায়ী যারা যুক্ত তারা বেশী প্রভাবিত হন। কোন শেয়ারের মূল্য বাড়ছে, কোনটার কমছে, কোনটা লাভ জনক, কোনটা লাভ জনক নয়। যেটা প্রাইমারি মার্কেট বা সেকেন্ডারি মার্কেট সেটি অনেক বেশী উঠা-নামা করে। এই সবগুলো সাধারণত প্রচার , গুজব ইত্যাদির মাধ্যমেই বেশী ছড়ায়। এক্ষেত্রে সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখা উচিত। সেটা হলো মানুষ যেন কোন ধরনের আস্থার সংকটে না পড়ে।
এর আগেও আমরা শেয়ার বাজার থেকে লাখ লাখ মানুষকে সর্বশান্ত হতে দেখেছি। শেয়ারবাজার থেকে প্রচুর পরিমানের টাকা আমরা লুটপাট হতে দেখেছি এবং এক সময় একটি তথ্য বের হয়েছিল। একটি তদন্ত কমিটিও হয়েছিল। তদন্ত কমিটির পক্ষ থেকে যে রিপোর্ট হয়েছিল তাও প্রকাশ হয়েছিল। ফলে শেয়ার বাজার সর্ম্পকে অনেক মানুষের কিছু মিশ্র মনোভাব আছে। সেটি হলো, একদল মানুষ শেয়ার বাজারকে মনে করে দ্রুত টাকা রোজগার করার জায়গা আবার তেমন আরেক দল মানুষের শেয়ার বাজার সর্ম্পকে একটি ভীতি আছে। এই ভীতিটা দূর করার জন্যে সরকারের সর্বোচ্চ ভূমিকা পালন করা উচিত। কোন ধরণের উত্তেজনা বা আতঙ্ক শেয়ারবাজারকে ক্ষতিগ্রস্ত করে বা করবে তা খেয়াল রাখা উচিত। শেয়ার বাজারের অতিত ঘটনাগুলো কিন্তু আমাদেরকে বার বার মনে করিয়ে দেয় যে, যখনই আমরা ধারণা করেছি শেয়ার বাজারে ধস নামবে না তখনই আমরা দেখেছি শেয়ার বাজারে বড় ধরণের ধস নামছে। আবার কখনো কখনো দেখছি শেয়ারবাজারে ধস নামবে বলার পরেও গুরুত্ব না দেয়ার কারণে সাধারণ মানুষ ব্যাপক ক্ষতির স্বীকার হচ্ছে। ফলে যখনই কোন নতুন খবর আসে, তখনই সরকারের উচিত এটাকে বিশেষ গুরুত্বের সাথে দেখা। যাতে এটাকে উপেক্ষা বা অবহেলা না করে। কারণ এর সাথে জড়িত আছে লাখ ল্খা মানুষের জীবন জীবিকা। কোন খবর আসার সাথে সাথে এক কথা নাকচ করে দেয়া বা সেটা দ্বারা আতঙ্কিত হওয়া নয় বরং সঠিক তথ্যটা জেনে জনসাধারনের কাছে জানানোটাই সরকারের দায়িত্ব। সরকারের উচিত সবসময় জনসাধারণকে জানানো শেয়ারবাজারে ধস নামবে বা নামবে না। বিনিয়োগকারীদের কাছে সঠিক তথ্য হালনাগাত করা যাতে সবাই জানতে পারে শেয়ারবাজার নিরাপদ নাকি নিরাপদ নয়। তাহলোই মানুষকে শেয়ারবাজার মুখী করা যাবে।
পরিচিতি : কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, বাসদ
মতামত গ্রহণ : শাখাওয়াত উল্লাহ
সম্পাদনা : গাজী খায়রুল আলম