নেতৃত্বের দ্বন্দে দিনদিন কমছে সমবায় সমিতির সংখ্যা
সাইদ রিপন : বিশ্বায়নের আগ্রাসন মোকাবেলায় দরিদ্র মানুষের সামনে সমবায়ের বিকল্প অন্য কিছু নেই। সমবায়ের মাধ্যমেই স্বনির্ভর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ১৯৭২ সালে ৩০ জুন সমবায় আয়োজিত সম্মেলনে বলেছিলেন, আমার দেশের প্রতিটি মানুষ খাদ্য পাবে, আশ্রয় পাবে, শিক্ষা পাবে, উন্নত জীবনের অধিকারী হবে এটাই আমার স্বপ্ন। বঙ্গবন্ধুর ওই বক্তব্যের পর বর্তমান বাংলাদেশে নেতৃত্বের দ্বন্দে দিনদিন কমছে সমবায় সমিতির সংখ্যা। তাছাড়া প্রান্তিক পর্যায়েও সমবায় কার্যক্রম ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে। সমবায় অধিদফতর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
অধিদফতর সূত্র জানায়, নেতৃত্বের দ্বন্দ্ব আর দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতাসহ এমন নানা জটিলতায় প্রতিবছরই কমছে সমবায় সমিতির সংখ্যা। অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে ২০১৪ সালের জুন মাস পর্যন্ত সমবায় সমিতির মোট সংখ্যা ছিলো ১ লাখ ৯৪ হাজার ৬৬২টি। এক বছর পর ২০১৫ সালের জুন মাসে সমিতির সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ১ লাখ ৮৮ হাজার ৫৯৬তে। পর্যায়ক্রমে ২০১৬ সালের জুনে কমে দাঁড়ায় ১ লাখ ৭৮ হাজার ৮৩৪-এ। বর্তমানে এই সমিতির সংখ্যা ১ লাখ ৭৫ হাজার ৮৭৫টি। নতুন নতুন সমিতির নিবন্ধনের হারও কমেছে। ২০১৪ সালে যেখানে নতুন নিবন্ধিত সমিতির সংখ্যা ছিল ১৮ হাজার ১৫১টি। সেখানে ওই সময় থেকে ২০১৭ সালের জুন পর্যন্ত নতুন নিবন্ধিত সমিতির সংখ্যা মাত্র ৭ হাজার ৬৬৬টি।
গমবায় অধিতফতরের উপ-নিবন্ধক (এম,আই, এস) মোঃ মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, দেশে বর্তমানে মোট সমিতির সদস্য সংখ্যা ১ কোটি ৬ লাখ ৯৪ হাজার ৫৫৩ জন। ২০১৭ সালে সমিতিগুলোর মাধ্যমে ৬ লাখ ৪ হাজার ৭৩১ টাকা ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। শুধু সমিতির সদস্যরাই ঋণ নিতে পারবেন। যেই সব সমিতি নিবন্ধন নিয়ে কোন কার্যক্রম রাখেনি সেইসব সমিতির নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে। অকার্যকর সমিতি রাখার দরকার নেই বলে মনে করে অধিদফতর। সেজন্য প্রতিবছর এ সমিতির সংখ্যা কমছে।