রাজনৈতিক কর্মী নয় ফুটেজ দেখে অপরাধী ধরছি : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সুজন কৈরী : দলীয় কর্মীদের মুক্ত করতে পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় বিএনপি নেতাকর্মীদের গণগ্রেফতার করা হচ্ছে না। ভিডিও ফুটেজের ছবি দেখে হামলাকারীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এসব গ্রেফতারের পেছনে কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই। গতকাল শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু সম্মেলনকেন্দ্রে ‘পাসপোর্ট সেবা সপ্তাহ, ২০১৮’ উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
হয়রানি এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপিকে সরিয়ে রাখার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে গণগ্রেফতার করা হচ্ছে, বিএনপির এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন তো অনেক দূরে রয়েছে। খালেদা জিয়ার দুর্নীতির মামলার বিচার চলছে। সেখানে যাওয়া ও আসার পথে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা হয়েছিল। তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন, কীভাবে পুলিশের রাইফেল ভেঙে ফেলা হয়েছে, প্রিজন ভ্যানে হামলা হয়েছে। তারা আসামি ছিনিয়ে নিয়ে যায়। একইভাবে ২০১৪ সালে রাজশাহীতে পুলিশকে পিটিয়ে মারার চেষ্টা করা হয়। এমন পরিস্থিতি তো আর হতে দেয়া যায় না। আমরা ভিডিও ফুটেজ দেখে ওই সব ঘটনায় জড়িতদের ধরছি। এখানে কোনো রাজনৈতিক হয়রানি করা হচ্ছে না। আমরা রাজনৈতিক নেতাকর্মী হিসেবে ধরছি না, সন্ত্রাসীদের ধরছি। যারা ভাঙচুর, প্রিজন ভ্যানে হামলা ও পুলিশের ওপর হামলা করেছে তাদের ধরা হচ্ছে।
পাসপোর্টের জন্য আবেদনকারীকে পুলিশ ভেরিফিকেশনের সময় ঘুষ দিতে হয়, এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, সব নাগিরক যখন স্মার্টকার্ড পাবেন, তখন এই অনিয়ম কমে আসবে। ভেরিফিকেশনের দরকার হবে না। পাসপোর্ট পেতে মানুষের ভোগান্তি আগের চেয়ে এখন অনেক কমেছে বলেও মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ইতোমধ্যে আমরা দুই কোটি এমআরপি দিয়েছি। একটি লোকও এমআরপির অভাবে বিদেশ থেকে ফিরে আসেনি। পাসপোর্ট নিয়ে কোনো অনিয়ম যেন না হয়, সেজন্য দেশের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার মধ্যে ডাটা শেয়ারিংয়ের ব্যবস্থা হচ্ছে।
এমআরপির পর শিগগিরই ই-পাসপোর্ট যুগে প্রবেশের আশা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বিশ্বের ১১৮টি দেশে ই-পাসপোর্ট চালু রয়েছে। আমরাও শিগগিরই ই-পাসপোর্ট প্রবর্তন করব।
পাসপোর্ট অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাসুদ রেজওয়ানের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি টিপু মুন্সি, সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব ও পাসপোর্ট অধিদফতরের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সম্পাদনা : আনিসুর রহমান তপন