অশ্লীল প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বাড্ডায় ক্লিনিকের নারী রিসিপশনিস্টকে হত্যা
মাসুদ আলম : অশ্লীল প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বাড্ডায় অন্ত:সত্বা নারী রিসিপশনিস্ট লিজা আক্তারকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তার পরিবার। এ ঘটনায় পুলিশ হায়দার ডেন্টাল কিèনিকের মালিক নজরুল ইসলাম হায়দার ও দারোয়ানকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
পুলিশ বলছে, আটককৃতদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। সেগুলো যাচাই করা হচ্ছে। হত্যাকা-ে কারা অংশ নিয়েছিলো এবং নেপথ্যে কি রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গতকাল দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লিজার মৃতদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
লিজার স্বামী আরাফাত রহমান বলেন, লিজা দেড় মাসের অন্ত:সত্বা ছিলো। দেড় মাস আগে ওই ক্লিনিকে চাকরি নেয় সে। প্রতিদিনের মতো শুক্রবার সকালে ডিউটিতে যায়। কিন্ত শুক্রবার অন্য স্টাফরা ছুটিতে থাকলেও লিজাকে ডিউটি করতে বলেন কর্তৃপক্ষ। চাকরি নেওয়ার পর থেকে ক্লিনিকের মালিক নজরুল ইসলাম হায়দার তাকে অশ্লীল প্রস্তাব দিয়ে আসছিলো। কিন্তু লিজা রাজি না হওয়ায় তাকে পরিকল্পীতভাবে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার দিন দুপুরে ক্লিনিকের মালিক মোবাইলে ফোন করে জানায়, লিজা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। পরে সেখানে গিয়ে দেখি রক্তাক্ত অবস্থায় লিজার মরদেহ পড়ে আছে। ওইদিন ক্লিনিকের সব কয়টি সিসিটিভি ক্যামেরা বন্ধ ছিলো। হত্যাকে আড়াল করতে এগুলো বন্ধ রাখা হয়েছিলো। লিজার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের ১১টির বেশি আঘাত রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দু’বছর আগে লিজাকে বিয়ে করেন। পারিবারিকভাবে সুখি ছিলেন তারা। স্ত্রীকে নিয়ে মধ্যবাড্ডা আদর্শনগর এলাকায় ভাড়া থাকতেন তারা।
পুলিশের বাড্ডা জোনের সিনিয়র এসি আশরাফুল করিম বলেন, ক্লিনিকের গেটের সামনে একটি সিসিটিভি ক্যামেরাও আছে। তবে ঘটনাস্থলে থাকা সিসিটিভি ক্যামেরায় কোনো ফুটেজ পায়নি পুলিশ। সিসিটিভি ক্যামেরাটি আমরা বিকল দেখতে পাই। সেটি নিয়েও কাজ চলছে। আগে থেকেই বিকল ছিল বা হত্যার আগে বিকল করা হয়েছে কি না- সেটি ফরেন্সিক রিপোর্ট পেলে নিশ্চিত হওয়া যাবে।