৫৭ ধারাটি একটি কালো আইন ছিল শাখাওয়াত হোসেন বাদশা
শাখাওয়াত হোসেন বাদশা
আগে যে আইসিটি আইনের ৫৭ ধারা ছিল, আমরা সরকারের কাছে বার বার দাবি জানিয়েছি, যেন এই আইনটি বাতিল করা হয়। ৫৭ ধারাটি একটি কালো আইন ছিল। তাই এটিকে বাতিল করতে দাবি করেছি। এই আইনটি সম্পূর্ণভাবে গণমাধ্যম পরিপন্থী আইন ছিল। যখন সরকারের পক্ষ থেকে আইনমন্ত্রী আমাদের আশ্বস্থ করেছিলেন, এই ধারাটি বাতিল করা হবে, আমরা একটু আশান্বিত হয়েছিলাম। কারণ, ৫৭ ধারা অনুযায়ী অপরাধীর ছয় মাসের আগে কোনো জামিন ছিল না।
আবার যে কোনো সময় যে কোনো জায়গা থেকে একজন সাংবাদিককে গ্রেফতার করতে পারত, ৫৭ ধারা অনুযায়ী। ফলে আমরা সেটিকে নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছি। এমন সময় সরকার আইসিটি আইন ৩২ ধারা মন্ত্রী সভায় অনুমোদন দিলেন। ৩২ ধারাটি যদি আইনে পরিণত হয়, এটি ৫৭ ধারা থেকেও বেশি ভীতি সৃষ্টি করবে গণমাধ্যমগুলোতে। সংবাদপত্রে সত্যিকার অর্থে যে স্বাধীনতা, সেটি রুদ্ধ হবে। এর মধ্য দিয়ে একজন রিপোর্টারের কাজ হচ্ছে, অনুসন্ধানমূলক রিপোর্ট তৈরি করা। এই জায়গাটি এখন বাধার সম্মুখিন হবে। ফলে একজন সাংবাদিক তার সঠিক দক্ষতা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হবে। একজন অনুসন্ধানী রিপোর্টার দুর্নীতি, সমাজের অবিচার তুলে ধরেন। এটি সরকারের পক্ষে যেতে পারে বা বিপক্ষে যেতে পারে। তাছাড়া দেশের বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী সেক্টরের তথ্য তুলে ধরতে পারে। যদি ৩২ ধারা আইনটি চালু হয়, তাহলে আর এটি করা যাবে না। তাই সাংবাদিক সংগঠনগুলো এক হয়ে এই আইন যেন করতে না পারে তার জন্য কাজ করা উচিত। কারণ, এটি একটি কালো আইন।
পরিচিতি : সাবেক সভাপতি, ঢাকা রিপোর্টারস ইউনিটি
মতামত গ্রহণ : গাজী খায়রুল আলম/সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ