বিএনপির প্রতি জনগণের কোনো আস্থা নেই!
অপু উকিল
বিএনপি চেয়ারপার্সন একাদশ সংসদ নির্বাচনে যাওয়ার জন্য মোট যে ৬টি শর্ত দিয়েছেন, সেগুলো হল: ১. ভোট হতে হবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ২. জনগণের ভোট কেন্দ্রে আসার মতো পরিবেশ তৈরি ৩. ভোটের আগে সংসদ ভেঙে দেওয়া ৪. নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষতা বজায় রাখা ৫. ভোটের সময় সেনাবাহিনী মোতায়েন ও মোবাইল ফোর্স হিসাবে কাজ করা ৬. ইভিএম ব্যবহার করা যাবে না। এ শর্তগলো কোনটিই যুক্তিসঙ্গত নয়। বর্তমান সরকার আমাদের দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে। বিএনপির সময়ে যে কুসংস্কৃতি ছিল সে কুসংস্কৃতি বন্ধ করেছে বর্তমান সরকার। ভোট কেন্দ্র দখল, ভোট ছিনতাই, একজনের ভোট আরেকজনের দেওয়া, এসব দুর্নীতি বন্ধ করেছে। কাজেই আমার ভোট আমি দিব, এটাই স্বাভাবিক ভাবে করে দিয়েছেন। একটি বিষয় হচ্ছে, ইভিএম পদ্ধতি। বাংলাদেশ ডিজিটাল পদ্ধতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশে ভোট ব্যবস্থা স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ ভাবে করতে হলে ইভিএম লাগবে। সেখানে বিএনপি বাধা সৃষ্টি করছে। সে কারণে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া যে ছয়টি শর্তের কথা বলেছেন, সেটির একটিও যৌক্তিক কথা নয়। ২০১৪ সালে সংসদ নির্বাচনের সময় বিএনপি জনগণকে বাঁধা দিয়েছিল, যেন তারা ভোট দিতে না পারে। সেজন্য বিএনপি আন্দোলনে নেমেছিল এবং অনেক মানুষকে হত্যা করেছিল। কিন্তু জনগণ ২০১৪ সালে সঠিকভাবে ভোট দিতে সক্ষম হয়েছিল। ২০১৮ সালে নির্বাচন হবে এবং ভোটের সময় জনগণের ভোট দেওয়ার সময় কেউ বাধা দিতে পারবে না। ২০১৮ সালেও ২০১৪ সালের মত সঠিকভাবে নির্বাচন হবে। ভোটের সময় কোন ভোট কেন্দ্রে সামরিক বাহিনী যদি প্রয়োজন হয়, নির্বাচন কমিশন সেখানে সামরিক বাহিনী মোতায়ন করবে। কিন্তু আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়ে ভোটকেন্দ্রে যদি সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হয়, তাহলে বিএনপির প্রতি জনগণের উপর কোন আস্থা বা বিশ্বাস নেই, সেটি প্রমাণ করে। আর ভোটের আগে সংসদ ভেঙে দেওয়া, বিএনপি সব সময় সংবিধানের বিরুদ্ধে কাজ করে থাকেন। এ কথাটি বিএনপি নেত্রী বলতে পারেন না।
পরিচিতি : সাবেক সংসদ সদস্য, আওয়ামী লীগ
মতামত গ্রহণ : রাশিদুল ইসলাম মাহিন
সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ