রপ্তানি আয় কমেছে চামড়ায়
আনোয়ার হোসেন : ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যে রপ্তানি আয় হয়েছে ৫ হাজার ১৬৬ কোটি টাকা। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫ দশমিক ৭১ শতাংশ কম। এমনকি গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়েও এবার ১ দশমিক ২১ শতাংশ কম হয়েছে বৈদেশিক মুদ্রা আয়। ইপিবির সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ১২৩ কোটি ৪০ হাজার মার্কিন ডলার। চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এই খাতের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩৮ কোটি মার্কিন ডলার। এর মধ্যে জুলাই-ডিসেম্বর মেয়াদে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৬৫ কোটি ৭৮ লাখ মার্কিন ডলার। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে কাঁচা চামড়া রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১১ কোটি ৪৪ লাখ মার্কিন ডলার। এ সময়ের মধ্যে আয় হয়েছে ৯ কোটি ৭৫ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ কম। গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর মেয়াদে কাঁচা চামড়া রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ১৩ কোটি ৫১ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার। অর্থাৎ আগের অর্থবছরের তুলনায়ও চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে চামড়ার রপ্তানি আয় ২৭ দশমিক ৮৪ শতাংশ কমেছে। সদ্য সমাপ্ত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে চামড়াজাত পণ্য রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ২০ কোটি ৯৩ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। চলতি অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর মেয়াদে এ খাতের পণ্য রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ২৫ কোটি ৭৪ লাখ মার্কিন ডলার। এর বিপরীতে এ খাতে আয় হয়েছে ২১ কোটি ৫২ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ কম। তবে গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসের চেয়ে এ খাতের পণ্য রপ্তানি আয় ২ দশমিক ৮১ শতাংশ বেড়েছে।
চলতি অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর মেয়াদে চামড়ার জুতা রপ্তানিতে আয় হয়েছে ৩০ কোটি ৭৫ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৭ দশমিক ৫২ শতাংশ বেশি। আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এই খাতের রপ্তানি আয় ৮ দশমিক ৫২ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে চামড়ার জুতা রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ২৮ কোটি ৩৩ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার।