এমন প্রকাশকের সংখ্যা খুব কম
মনি হায়দার
এবারের বইমেলায় আমার সাতটি বই বের হয়েছে। ‘নদীর সঙ্গে বসবাসের গল্প’ (পাঞ্জেরী), ‘অমল ও রবীন্দ্রনাথ’ (বাংলাদেশ শিশু একাডেমি), ‘জিহ্বার মিছিল’ (মাওলা ব্রার্দাস), ‘কিংবদন্তীর ভাগিরথী’ (বেহুলা বাংলা), ‘সেরা কিশোর গল্প’(বই বাজার), ‘মুক্তিযুদ্ধের নির্বাচিত কিশোর গল্প’(বই বাজার), ‘মুক্তিযুদ্ধের কিশোর গল্প, সম্পাদনা মনি হায়দার (কথা প্রকাশ)।
যারা নতুন লেখক অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাদেরকে বই প্রকাশের জন্য কাগজের মূল্য দিতে হয়। কিন্তু প্রশ্ন করা হলে অনেক প্রকাশকই এ কথাটা অস্বীকার করে। গোপনে গোপনে এ কাজগুলো হয়। একজন নতুন লেখকের বই বের করতে ২০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা খরচ হয়। কিন্তু পাঠক না থাকার কারণে সেই বই বিক্রি হয় না। বিক্রি না হলে প্রকাশক তার বই ছাপবে কেন? প্রকাশক কি লস দেবে? এই জন্য প্রকাশকেরা নতুন লেখকের কাছ থেকে কাগজের মূল্য নিয়ে থাকে। এর মধ্যে দু’একজন পাবলিশার আছেন, যারা নতুন লেখকের কাছ থেকে টাকা নেন না। এমন প্রকাশকের সংখ্যা খুব কম। তারা প্রকাশনাকে ভালোবেসে কাজ করেন। কিন্তু নতুন লেখকের কাছ থেকে প্রকাশকেরা টাকা নেয় এটা অনিবার্য সত্য। এর থেকে মুক্তির কোনো পথ নেই। বাংলাদেশে ১৬ কোটি মানুষ। কয়টা মানুষ বই কেনে? বই বিক্রি হতে হবে তো। শত বছর পরে মানুষের চিন্তা চেতনার বিকাশ ঘটবে। মানুষ নিজেকে বুঝতে পারবে, তাহলে হয়তো এই অবস্থা থেকে উত্তরণের কোনো পথ বেরুবে। এইবারের মেলায় বইয়ের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে । আর বাংলা একাডেমির পুরষ্কার নিয়ে বলব, প্রতিটা পুরষ্কার নিয়েই বিতর্ক হয়। কয়েকজন কেন পুরষ্কার পেল আমি বুঝতে পারিনি। পুরষ্কারের তালিকায় আরও লেখক যুগ করা যেত।
পরিচিতি : কবি ও লেখক
মতামত গ্রহণ : সানিম আহমেদ/সম্পাদনা : খায়রুল আলম