কুঋণ হবে না এমন লোকদেরকেই ঋণ দেওয়া উচিত
ড. আবু আহমেদ
ঋণ খেলাপের জন্য ব্যাংকগুলো যতটা দায়ী, ততটা দায় সরকারেরও বলেছেন মাননীয় অর্থমন্ত্রী। এর জন্য আমি তাকে সাধুবাদ জানাই। তিনি যথার্থই বলেছেন। সরকারই তো বোর্ড অব ডাইরেক্টরস ঠিক করে দেয়। ম্যানেজিং ডিরেক্টর এপয়েনমেন্ট দেয়। নীতি নির্ধারক তো সরকারই দিচ্ছে। ব্যাংকের যে কোনো সিদ্ধান্তে সরকার চাপ প্রয়োগ করে থাকে। যদিও অর্থমন্ত্রী এ বিষয়ে বলেছেন যে, সরকার এখন থেকে ব্যাংকে আর কোনো হস্তক্ষেপ করবে না। এক্ষেত্রে ব্যাংকের সঠিক পারফরম্যান্সটা বোঝা যাবে। পারফরম্যান্স ভালো হলে রিওয়ার্ড দেয়া হবে আর খারাপ হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে সরিয়ে দেয়া যাবে। কুঋণের টোটাল টার্গেটের উনিশ পার্সেন্ট রিকভার করতে পেরেছে সোনালী ব্যাংক। উনি আরো বলেন, ব্যাংকগুলো তো সবাইকে ঋণ দেয় না। ঋণ দিয়ে কি লাভ, যদি বারবার ব্যর্থ হয়? সরকারি ব্যাংকগুলোতে অতটা ঋণ না দেওয়াই ভালো। ওরা দিলে সেটার পুরোটাই খেলাপি ঋণ হয়ে যাচ্ছে। বরং গত কয়েকমাস ব্যাংকগুলো যে লিকুইডিটি সাপ্লাই দিয়েছে প্রাইভেট কর্মাশিয়াল ব্যাংকগুলোকে, সেটাই ভালো। যাদেরকে ঋণ দিলে কুঋণে রুপান্তর হয় না, তাদেরকেই ঋণ দেওয়া ভালো বলে মনে করি।
পরিচিতি : অর্থনীতিবিদ
মতামত গ্রহণ : সানিম আহমেদ
সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ