বই পড়ার ভালো অভ্যাস গড়ে তুলুন
ড. এ. কে. আজাদ চৌধুরী
বই পড়ি, স্বদেশ গড়ি শ্লোগান নিয়ে প্রথম বারের মতো পালিত হচ্ছে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস। মানুষের মধ্যে এখন বই পড়ার আগ্রহ অনেক কমে গিয়েছে। গ্রন্থাগারে যাওয়ার অভ্যাসও কমে গিয়েছে। বই কেনাও কমে গিয়েছে। এটা সমাজের জন্য অশুভ সংকেত। বই পড়ার অভ্যাস বাড়াতে হবে। আমেরিকায় যতজন প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তি আছেন, তারা প্রতি মাসে আশিটার মত বই পড়ে। আইসিটির এত প্রভাব, সহজেই কম্পিউটারে পড়তে পারে। পাবলিক ট্রান্সপোর্টে দেখা যায় বাসে, ট্রেনে তারা বই পড়ছে। বই পড়া একটি ভালো অভ্যাস। এতে জ্ঞান লাভ তো হয়ই। মনেও প্রশান্তি আনে। মুল্যবোধের প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রেও বই মানুষকে নতুন অনন্তকালের যে মূল্যবোধ সেটাকে ফুটিয়ে তোলে। মানুষের অনুভূতিকে আরো প্রখর করে। বিজনেস ওয়ার্ল্ডে বই পড়া ইমপরট্যান্ট। তারা অনেক ভিন্নধর্মী বই পড়ে, নন ফিকশনাল বুক। গল্প, উপন্যাস ছাড়াও যেসব বই আছে, সে সব বইয়ের অনেক ডিমান্ড। আমার আহ্বান থাকবে ইয়াং জেনারেশন বেশি করে বই পড়বেন। অনেকে বই কেনেন, কিন্তু পড়েন না। বই পড়ার অভ্যাস ছোটবেলা থেকেই গড়ে তুলতে হবে। এটা বাবা মায়ের কর্তব্য। অনেকেই বই কিনে লাইব্রেরীতে সাজিয়ে রাখেন। বই পড়ার সময় তাদের নেই। ঘরের অন্য সব আসবাবের মধ্যে বইয়ের শোকেস অন্যতম। বই না পড়লে বই কিনে কি লাভ? পেপার বাইন্ড পত্রিকা আর ম্যাগাজিনের কাটতি কমে গেছে ওয়েব সাইট আসার পরে। কিন্তু বইয়ের আবেগ কাটে নাই। তাই আমার কথা, বেশি করে বই পড়–ন, জ্ঞাননির্ভর সমৃদ্ধ জাতি গড়–ন।
পরিচিতি : সাবেক চেয়ারম্যান, ইউজিসি ও সাবেক ভিসি, ঢা.বি.
মতামত গ্রহণ : সানিম আহমেদ
সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ