পাঁচ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা দিয়ে তেমন কোন লাভ নেই
ড. মীজানুর রহমান
প্রশ্নপত্র ফাঁসকারী ব্যক্তিদের ধরিয়ে দিতে পারলে পাঁচ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা দিয়ে তেমন কোন লাভ নেই। কারণ, আমাদের দেশের পরীক্ষাগুলো যেভাবে নেয়া হয়, সেভাবে আসলে মূল্যায়নের চেয়ে দুর্নীতি বেশী হয়। আমার মনে হয়, এই এমসিকিউ পদ্ধতিতে পরীক্ষা আমাদের দেশের জন্য উপযোগী নয়। এটা সম্পূর্ণ উঠিয়ে দেয়া উচিত। এবারের এসএসসি পরিক্ষায় বাংলা ১ম পত্র ও ২য় পত্র পরীক্ষা নিয়ে যে প্রশ্ন উঠেছে সেটাতে কিন্তু লিখিত পরীক্ষা নিয়ে নয় বরং এমসিকিউ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এটা যদি কোনভাবে নিশ্চিত হওয়া যায় যে, বিভিন্ন জায়গায় লিখিত প্রশ্ন নয় বরং এমসিকিউ প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে, তাহলে এমসিকিউ প্রশ্নের নম্বর বাদ দিয়ে লিখিত পরীক্ষায় নম্বর যা পেয়েছে তা থেকে তাকে আনুপাতিক হারে নম্বর দেয়া হবে। অর্থাৎ লিখিত পরীক্ষায় যে যত নম্বর পেয়েছে তাকে সে অনুযায়ী নম্বর দেয়া হবে। যেমন ধরেন, একজন ছাত্র লিখিত পরীক্ষায় পেয়েছে ৭০ এ ১৫। কিন্তু এমসিকিউতে সে পেয়েছে ৩০ এ ৩০। তাহলে লিখিত পরীক্ষার নম্বর অনুযায়ী তার নম্বর তখন আনুমানিক হবে মোট ২১। অথচ সে আগে পেতো মোট ৪৫ নম্বর। তার মানে হচ্ছে সে প্রশ্ন পেয়েছে। হ্যাঁ, সেক্ষেত্রে অবশ্যই নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে। যেহেতু সারা দেশে একযোগে পরীক্ষা হয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ পরীক্ষা বাতিল না হওয়ার কোন কারণ নেই। যদি নিশ্চিত হওয়া যায় অধিকাংশ স্থানে এমসিকিউ প্রকাশ হয়ে গেছে, তাহলে শুধু এমসিকিউ বাতিল করে লিখিত পরীক্ষার আনুপাতিক হারে নম্বর দেয়া হবে ।
আর আগামীতে যে পরীক্ষা গুলো আছে সেগুলোর এমসিকিউ অংশ বাদ দিয়ে শুধু লিখিত পরীক্ষা গুলো নেয়া হবে এবং যদি ৭০ এর পরীক্ষা হয়, তাহলে আনুপাতিক হারে এমসিকিউর নম্বর দেয়া হবে। অর্থাৎ ৭০ কে ১০০ নম্বরে কনভার্ট করা হবে।
অনেক সময় খাতা হারিয়ে গেলে বা পানিতে পড়ে গেলে অন্য খাতার নম্বর অনুযায়ী সে খাতার নম্বর দেয়ে দেয়া হয়। সতরাং ৭০ নম্বরের পরীক্ষাগুলোকে ১০০তে কনভার্ট করে পরিক্ষা নিতে হবে। সামনের দিকে ইংরেজি ১ম ও ২য় পত্র পরীক্ষা গুলোর এমসিকিউ বাতিল করা হোক।
পরিচিয়: ভিসি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়/মতামত গ্রহণ: শাখাওয়াত উল্লাহ/সম্পাদন: মোহাম্মদ আবদুল অদুদ