কাঁঠালবাগান-আলামিন রোডে পাঁচযুগের পুরনো পাইপলাইনে গ্যাস সরবারহ চলছে
জাফর আহমদ : রাজধানীর পূর্ব ধানমন্ডির কাঁঠালতলা-আলামিন রোড এলাকায় পাঁচযুগ আগে হাফ ইঞ্চি ব্যাসার্ধের পাইপলাইনে গ্যাস সংযোগ দেওয়া হয়েছিল। এরপর প্রায় পাঁচযুগে গ্যাসের ব্যবহারকারি বেড়েছে প্রায় ২৫ গুন। পাঁচযুগে পাইপলাইন পুরাতন জরাজীর্ন হয়ে গেছে। এ পাইপলাইন দিয়ে গ্যাস লিক করে বাইরে বের হওয়ার কারণে বড় ধরনের দুর্ঘটনার ঝুকি তৈরি হয়েছে। ফলে এলাকার প্রায় ছয় হাজার মানুষ ঝুকিতে বসবাস করছে। অন্যদিকে গ্যাস সরবারহ না থাকায় ন্যুনতম গৃহস্থালির কাজ-কর্ম করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সরেজমিনে জানা গেছে, এলাকাটিতে ১৯৬৯ সালে গ্যাসের সংযোগ দেয়। এলাকাটি তিতাস গ্যাস এলাকার ১২০০ ফুট গ্যাস লাইনের আওতাভুক্ত। যেখানে ১৬০ থেকে ১৭০টি পরিবারের ২৫০ এর মত লোকের বসবাস ছিল। পাঁচ যুগ সময়ে হোল্ডিং বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫০টি। আর লোক সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় সাত হাজারে। এ সব মানুষের বেশিরভাগে শ্রমজীবি ও ছাত্র। এ সব ছাত্র আশেপাশে কলেজ বিশ^বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে। এলাকাবাসি জানায়, প্রায় পাঁচযুগে জরাজীর্ণ পাইপ লাইন সরবারহ করার কারণে মাঝে মাঝে লিক করে গ্যাস বের হয়। এতে যে কোন সময় আগুন লাগার মত দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। পাশাপাশি গ্যাস সরবারহ প্রায় শূন্যে নেমেছে। কিন্তু পাঁচযুে গ্যাসের চাহিদা বেড়ে গেছে প্রায় ৩০ গুন। প্রায় সারাদিনই এলাকায় গ্যাস থাকে না। কাঁঠালতলা আলামিন রোডের এ সব শ্রমজীবি ও ছাত্ররা একদিকে আতঙ্কে বসবাস করছে, অন্যদিকে গ্যাস না থাকায় কষ্টে জীবন যাপন করছে। বিষয়টি নিয়ে এ এলাকার সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার ফজলে নুর তাপসের সুপারিশসহ তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করলেও অদ্যবধি গ্যাস লাইনের বদলের কাজ শুরু হয়নি।
ফলে এলাকার এ সব মানুষ একদিকে গ্যাস না থাকায় রান্না-বান্নাসহ গৃহস্থালির কাজ করতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। অন্যদিকে গ্যাস লাইন থেকে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটনার আতঙ্কে আছে। গ্যাস লাইনের দ্রুত সংস্কার কাজ শুরু করা প্রয়োজন বলে মনে করছে এলাকার মানুষ।