৮ ফেব্রুয়ারিকে ঘিরে শঙ্কা-আতঙ্ক সংঘাত এড়াতে চায় বিএনপি, মাঠ দখলের প্রস্তুতি আ.লীগের
উম্মুল ওয়ারা সুইটি ও জিয়াউদ্দিন রাজু : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণার দিন কাল। রায়ের দিন ধার্য করার পর থেকেই এই দিনকে ঘিরে দেশব্যাপী জনগণের মধ্যে সংশয় ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। রায়ে খালেদা জিয়ার সাজা হলে বিএনপি কঠোর আন্দোলনে যাবে এমন ঘোষণায় ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগও প্রতিরোধের পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
আর রায়কে ঘিরে যেকোন ধরণের উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও তৎপর। গত ৭দিন ধরেই বিএনপির কেন্দ্রীয়, জেলা-উপজেলাসহ তৃণমূলের নেতাকর্মীদের ধরপাকড় চলছে। আওয়ামী লীগও ঘোষণা দিয়েছে, যেকোন ধরণের বিশৃঙ্খলা প্রতিহত করতে দলটি মাঠে থাকবে।
বিএনপি দলীয় একাধিক সূত্র বলেছে, গত ১৫ দিন ধরে নেতাকর্মীরা ধর-পাকড়ের শিকার হচ্ছেন। রায়ে খালেদা জিয়ার সাজা হলে দেশব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশ করার প্রস্তুতি নিয়েছিলো বিএনপি। কিন্তু গত তিনদিনে নেতাকর্মীদের ব্যাপক ধরপাকড়ের কারণে দলটি কঠোর কর্মসূচি থেকে সরে এসেছে। আবার চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াও কোনো ধরণের সংঘাত চাচ্ছেন না।
বিএনপির একজন ভাইস চেয়ারম্যান বলেছেন, রায় যাই হোক তা খালেদা জিয়া এবং বিএনপির জন্য ইতিবাচক। খালেদা জিয়া নির্বাহী কমিটির সভায় দলের নেতাকর্মীদের বলেছেন, পরিস্থিতি শান্তভাবে মোকাবেলা করতে। আওয়ামী লীগ দলীয় সূত্র বলেছে, এই রায় নিয়ে বিএনপিকে বড় ধরণের কোনো শো-ডাউন করতে দেবে না আওয়ামী লীগ। কাল আওয়ামী লীগ কোনো কর্মসূচি না দিলেও তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত মাঠে থাকার নির্দেশনা দিয়েছে দল।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, রায়কে ঘিরে কোনো ধরণের বিশৃঙ্খলা করতে দেবে না আওয়ামী লীগ। জনবিরোধী দল বিএনপি এটাকে ইস্যুকে জনগণের শান্তি নষ্ট করার ষড়যন্ত্র করছে, এটা করতে দেওয়া হবে না। আদালত রায় দেবেন, এটা নিয়ে কোনো উত্তেজনা করতে দেওয়া হবে না।
কাল যে কোনও ধরনের নাশকতা ঠেকাতে গজারি হাতে অবস্থান নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা বাস মালিক-শ্রমিকরা। গতকাল বিকালে ঢাকায় বাস-মালিক সমিতির কার্যালয়ে যৌথ সভায় এ ঘোষণ দেন ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহ। সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জানান, নাশকতা মোকাবেলায় রাজধানীর চারটি বাস টার্মিনালে (গুলিস্তান, মহাখালী, ফুলবাড়িয়া ও সায়েদাবাদ) গজারি নিয়ে অবস্থান নেবেন ১৫ হাজার মালিক-শ্রমিক। তিনি বলেন, মামলার রায়কে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতারা বিভিন্ন হুমকি দিয়ে আসছেন। এ কারণে নিজেদের বাস নিরাপদ রাখার জন্য আমরা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সম্পাদনা: ইকবাল খান