হাওরের ঝুঁকিপূর্ণ ভাঙনগুলো অরক্ষিত
নুর উদ্দিন, ছাতক (সুনামগঞ্জ): সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চলের ঝুঁকিপূর্ণ ভাঙনগুলো (ক্লোজার) এখনও অরক্ষিত। এ কারণে দুশ্চিন্তায় কৃষকরা। অনেক ভাঙনে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) কাজই শুরু করেনি। গেল বছর আগাম আসা পানিতে বিপজ্জনক এসব ক্লোজার দিয়েই পানি ঢুকেছিল।
কৃষকরা বলেছেন, হাওর রক্ষার জন্য সকল বাঁধেরই কাজ করতে হবে, তবে আগে ক্লোজারগুলোর কাজ শেষ না করলে পানি আসলেই বিপদ হতে পারে।পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী বললেন, ৮১৫ টি হাওররক্ষা বাঁধের মধ্যে মঙ্গলবার পর্যন্ত ৭০১ টি বাঁধের কাজ শুরু হয়েছে। বিপজ্জনক বাঁধগুলো দ্রুত করানোর চেষ্টা হচ্ছে। হাওরপাড়ের কৃষকরা জানান, গত বছর জেলার বৃহৎ শনির হাওরের লালুর গোয়ালা বাঁধ ভেঙে হাওরে পানি ঢুকলেও এই বাঁধে মঙ্গলবার পর্যন্ত কেবল কিছু বাঁশ পুঁতে রাখা হয়েছে।
হাওরপাড়ের জামালগঞ্জ-তাহিরপুরের মধ্যবর্তী রহমতপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল কদ্দুছ বললেন, লালুর গোয়ালায় অসময়ে সামান্য পরিমাণে মাটি ফেলা হয়েছিল গত মৌসুমেও। এ কারণে হাজার হাজার কৃষক রাতদিন লড়াই করেও শেষ পর্যন্ত হাওর টিকাতে পারেননি। জামালগঞ্জের হালির হাওরের কালীবাড়ি ক্লোজার ভেঙে বিশাল এই হাওরের ফসল ডুবেছিল গত বছর।
কালীবাড়ি ক্লোজারের ৪ পিআইসির ২ পিআইসিতে ৩ দিন হয় কাজ শুরু হয়েছে। অন্য দুই পিআইসির সভাপতিকে কারণ দর্শানোর চিঠি পাঠিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম আল ইমরান। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান