যুক্তরাষ্ট্রে আটক বাংলাদেশী অধ্যাপককে নির্দোষ দাবি ভাইয়ের
মরিয়ম চম্পা : যুক্তরাষ্ট্রের ক্যানসাসে সম্প্রতি গ্রেফতার হওয়া বাংলাদেশী বিজ্ঞানী ও অধ্যাপক সৈয়দ জামালকে নির্দোষ দাবি করেছেন তার বড় ভাই সৈয়দ হুসাইন জামাল। বাংলাদেশ সময় গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সৈয়দ জামালের ছেলে তাসিন ও মেয়ে নাহিনকে নিয়ে সিএনএন-এর একটি লাইভ সাক্ষাতকারে এমনটিই দাবি করেন হুসাইন।
সাক্ষাতকারে দেখা গেছে, সিএনএন উপস্থাপিকা হুসাইনকে একটি স্টেটমেন্ট পড়ে শোনাচ্ছেন। স্টেটমেন্টে উল্লেখ আছে, ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে অপকর্মের দায়ে গ্রেফতার হলে যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন এন্ড কাস্টমস ইনফোরসমেন্ট (আইসিই)’র নজরে আসেন তিনি। এরপর ২০১২ সালের ১১ সেপ্টেম্বর তাকে আইসিই’র জিম্মায় নেওয়া হয় এবং নভেম্বরে ছেড়ে দেওয়া হয়। ২০১৩ সালে অপরাধের জন্য জামালের আবেদন খারিজ করে দেয় ইমিগ্রেশন বোর্ড।
তবে, ওই স্টেমেন্টের তীব্র বিরোধীতা করেন হুসাইন। তিনি সিএনএন উপস্থাপিকাকে বলেন, ‘স্টেটমেন্টে ভুল রয়েছে। আমার ভাই কখনই অপরাধী ছিলোনা। এটাকে সংশোধন করাতে হবে।’
উপস্থাপক জামালের মেয়ে নাহিনের কাছে জানতে চান, এইচ-ওয়ানবি ভিসায় আওতায় যারা মাদক ব্যবসা কিংবা অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকে তাদেরই বিতাড়ন অথবা শাস্তির মুখোমুখি হয়। তোমার বাবা তো অপরাধী না কাজেই এ বিষয়ে তুমি মার্কিন প্রেসিডেন্টকে কি বলতে চাও?
জবাবে ১২ বছর বয়সী নাহিন বলে, ‘যারা অপরাধী নয় তাদের শাস্তি থেকে বিরত রাখা হোক।’
১৪ বছর বয়সী ছেলে তাসিন বলেন, ‘বাবা ছাড়া আমরা অচল। তার অনুপোস্থিতিতে আমি জানিনা আমার এবং আমার পরিবারের ভাগ্যে কি আছে।’
গত ২৪ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশী বিজ্ঞানী ও অধ্যাপক সৈয়দ জামালকে কানসাস লরেন্সের বাড়ির আঙ্গিনা থেকে মার্কিন ইমিগ্রেশন এন্ড কাস্টমস ইনফোরসমেন্ট ‘আইসিই’ তাকে গ্রেফতার করে। পুলিশ নিয়ে যাওয়ার সময় ৫৫ বছর বয়সী জামাল খুবই শান্তভাবে তার স্ত্রী ও ৩ বাচ্চাকে গুডবাই বলেন। বিজ্ঞানী ও কমিউনিটি লিডার জামালকে গ্রেফতারের পরপরই কানসাসে বসবাসরত বাঙালি বন্ধু ও প্রতিবেশীরা উদ্বেগ প্রকাশ করে। সিএনএন