উত্তর কোরিয়ার ‘রাজকন্যা’ তিনি
লিহান লিমা : কেউ বলে রাজকন্যা, আর কেউ বলে রহস্যময়ী। তিনি ‘কিম ইয়ো জং। উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উনের বোন। বলা যায়, রহস্যময় ওই নারী তার প্রবল পরাক্রমশালী ভাই কিমের ডানহাত কিংবা তৃতীয় চোখ। দক্ষিণ কোরিয়ায় শুরু হওয়া পিয়ংচ্যাং অলিম্পিকের ১০২টি আকর্ষণীয় প্রতিযোগিতার মধ্যেও বিশ্বের আগ্রহের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু এই রহস্য নারী।
কোরিয় যুদ্ধের পর পিয়ংইয়ংয়ের ক্ষমতাসীন পরিবারের প্রথম কোনো সদস্য হিসেবে সিউল সফর করছেন ইয়ো। অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া ছাড়াও প্রেসিডেন্ট মুন জে ইনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে কিমের এই ক্ষমতাধর বোনের।
২০১১ সালে পিতা কিম জং ইলের মৃত্যুর শোক অনুষ্ঠানে ভাই কিমের সঙ্গে তাকে প্রথমবারের মতো দেখা গিয়েছিল। এরপর ভাইয়ের সঙ্গে অনেক রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানের মধ্যমণি হিসেবে তাকে দেখা গেছে।
২০১৪-তে ওয়ার্কার্স পার্টির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, এরপর দলের প্রচার এবং আন্দোলন বিভাগের সহ-নির্বাহীর পদ পান ইয়ো; যার কাজ ছিল কিমের পক্ষে সমর্থন জোরদার করা। এরপর খুব দ্রুতই ক্ষমতার সিঁড়ি বাইতে থাকেন তিনি। ২০১৬-র প্রথমদিকে ওয়ার্কার্স পার্টির মূল কমিটিতে স্থান পান ইয়ো। ২০১৭ সালের অক্টোবরে কিম তাকে উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী কমিটি পলিটব্যুরোর প্রথম উপ-পরিচালক হিসেবে নিযুক্ত করেন।
এ বছরের জানুয়ারিতেই উত্তর কোরিয়ার নিরাপত্তা বিভাগের দায়িত্বও নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন ইয়ো। উত্তরের প্রশাসন তাকে নিজেদের পরবর্তী নেতা হিসেবে দেখে বলে মনে করেন উত্তর কোরিয়া বিষয়ক বিশ্লেষকরা।
এছাড়া ২০১৩ সালে চাচার মৃত্যুদ-, চাচীর গুম ও গত বছর সৎভাইয়ের মৃত্যুর পর কিমের উত্তরসূরী হিসেবে ক্ষমতার খুব কাছেই চলে এসেছেন ইয়ো। ধারণা করা হয়, কিমের নিরাপত্তায় অতন্দ্র প্রহরী সুন্দরী ইয়ো। তার বিছানো জাল পেরিয়ে কিমের কাছে কোনো গুপ্ত ঘাতকের পৌঁছে যাওয়া চাট্টিখানি কথা নয়। সম্পাদনা : পরাগ মাঝি