শিশুদের পদচারণায় বইমেলা সরব
রাজু আনোয়ার : গত কদিন দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতায় অমর একুশে বইমেলা যেন কিছুটা স্থবির হয়ে পড়েছে। গতকাল ছিল মাসব্যাপী বইমেলার উল্লেখযোগ্য একটি দিন বিশেষ করে শিশুদের জন্য। কেননা এদিন মেলায় বরাদ্ধ ছিল শিশুপ্রহর। বইমেলার তৃতীয় এই শিশু প্রহরের দিনে রং-বেরঙের পোশাকে মা-বাবার হাত ধরে শিশুরা ছুটে এসেছে মেলায়। সবার চোখে-মুখে আনন্দ। । বেলা বাড়ায় সাথে সাথে শিশু ও তাদের অভিভাবকদের পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে নানা বয়সী মানুষের আগমনে মেলা হয়ে উঠেছিল প্রাণচঞ্চল।
বেলা তখন দুইটা। বইমেলার সোহরাওয়ার্দী অংশের বটতলার নিচের শিশুচত্বরের মঞ্চটি ঘিরে রেখেছেন দর্শনার্থীরা। এখানে লাফালাফি আর লুটোপুটি খাচ্ছে ছোট ছোট শিশুরা। মনের আনন্দে বেলুন উড়িয়ে হৈ-হুল্লোড় করছে আর পাশে দাঁড়িয়ে থাকা বাবা-মায়েরা সেলফোনে ছবি ও ভিডিও করছেন নিজের সন্তানের। মেলার শিশুমঞ্চে বিকালে মঞ্চস্থ হয় সিসিমপুরের প্রযোজনা।
বইমেলার নবম দিনে মোট ৩৬টি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। তার মধ্যে প্রথম বইটি ছিল ২১ জন কবির ২১ টি কবিতা নিয়ে। বইটির নাম ‘ তুই তোকারি কাব্য’। বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করতে গিয়ে বাচিক পাঠশালা কন্ঠশীলনের অধ্যক্ষ আবৃত্তিকার মীর বরকত বললেন, বইটিতে ছন্দোবদ্ধ কবিতা, গদ্য কবিতা ও আতœকথন সব মিলিয়ে ২১টি কবিতার বেশকয়েকটি আবৃত্তি যোগ্য কবিতা।
অমর একুশে উদ্যাপনের অংশ হিসেবে গতকাল সকাল সাড়ে আটটায় বইমেলার অনুষ্ঠানমঞ্চে হয় শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। উদ্বোধন করেন চিত্রশিল্পী অধ্যাপক নিসার হোসেন। বিকাল ৪টায় একই মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘রশিদ উদ্দিন, উকিল মুন্সী, বারী সিদ্দিকী’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সুমনকুমার দাশ। আলোচনায় অংশ নেন কামালউদ্দিন কবির এবং সাইমন জাকারিয়া। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নূরুল হক। সম্পাদনা : সৈয়দ নূর-ই-আলম