সুয়ারেজকেও ‘অ্যাসিস্ট’ করতে চান কুতিনহো
স্পোর্টস ডেস্ক: ইংলিশ ক্লাব লিভারপুল থেকে ১৪৫ মিলিয়ন পাউন্ডে স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনায় যোগ দিয়েছেন ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার ফিলিপে কুতিনহো। কাতালান এ ক্লাবটিতে আসার পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন লিভারপুলে কুতিনহোর সাবেক সতীর্থ লুইস সুয়ারেজ। যিনি এখন বার্সেলোনার আক্রমণভাগের অন্যতম অস্ত্র। উরুগুইয়ান এ স্ট্রাইকার এমনকি বার্সেলোনায় কুতিনহোর জন্য বাড়িও কিনে রেখেছিলেন। দুইজনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কটা এমনই। তবে, সেই বন্ধুত্বের রেশ মাঠেও কাজ করে। এই যেমন বার্সেলোনার হয়ে কুতিনহোর করা প্রথম গোলটিতে বল তৈরি করে দিয়েছিলেন ৩১ বছর বয়সী এই উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার। আর মাঠে প্রিয় বন্ধুকেও এভাবে ‘অ্যাসিস্ট’ করতে চান ২৫ বছর বয়সী এই ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার।
গতকাল রাতে কোপা দেল রে’র সেমিফাইনালে ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে বার্সেলোনার হয়ে প্রথম গোলটি পান কুতিনহো। এদিন বদলি হিসেবে নেমেছিলেন তিনি। ভ্যালেন্সিয়াকে তাদের ঘরের মাঠে ২-০ গোলে হারিয়ে টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ ২৯ বার শিরোপা জয়ী বার্সেলোনা উঠে গেছে ফাইনালে। বার্সেলোনার হয়ে অন্য গোলটি করেছেন মিডফিল্ডার ইভান রাকিতিচ। সেটিতেও ছিল সুয়ারেজের অবদান।
সুয়ারেজের বাড়ানো ক্রস থেকে বার্সার জার্সি গায়ে নিজের প্রথম গোল পাওয়া কুতিনহো জানিয়েছেন দু’জনের সাবেক ক্লাব লিভারপুলের হয়ে তার প্রথম গোল করাতেও ছিল সুয়ারেজের অবদান। গোল টিভিকে দেয়া এ সাক্ষাৎকারে কুতিনহো বলেছেন, আমি সত্যি খুব খুশি। কারণ এখানে আসার পর থেকেই আমি প্রথম এ গোলটি করতে চাচ্ছিলাম। শেষ পর্যন্ত আমি এটা করতে পেরেছি। লিভারপুলে আমার প্রথম গোলেও সুয়ারেজ বল তৈরি করে দিয়েছিল। আশা করছি আমিও তাকে (সুয়ারেজ) ও মেসিকে গোল করতে সাহায্য করতে পারবো। তারা শুরু থেকেই আমাকে সাহায্য করছে।’
গোল করে দলকে ফাইনালে ওঠার পথে সহযোগিতা করতে পেরে আনন্দিত কুতিনহো আরো বলেছেন, ‘আরো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, দলকে ফাইনালে ওঠানোয় আমি ভূমিকা রাখতে পেরেছি। বার্সার হয়ে এটা আমার প্রথম ফাইনাল হবে। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। ফাইনালে ওঠাটা খুবই স্পেশাল। আমি নিশ্চিত এটা অসাধারণ একটা ম্যাচ হতে যাচ্ছে; একই সাথে কঠিন ম্যাচও। কিন্তু এর প্রস্তুতির জন্য আমাদের হাতে সময় আছে।’
এ নিয়ে কোপা দেল রে’তে টানা পঞ্চমবারের মতো ফাইনালে উঠেছে বার্সেলোনা, যা একটি রেকর্ড। এর আগে সেমিফাইনালের প্রথম লেগে নিজেদের মাঠ ন্যু ক্যাম্পে বার্সা ১-০ গোলে হারিয়েছিল ভ্যালেন্সিয়াকে। দুই লেগ মিলে দলটির অগ্রগামিতা ৩-০ গোলে। ফাইনালে বার্সার প্রতিপক্ষ সেভিয়া।