-৪২ কিলোমিটার মহাসড়কের ভোগান্তিতে ৩২ জেলার মানুষ
আব্দুম মুনিব, কুষ্টিয়া : দেশের উত্তর ও দক্ষিণ বঙ্গের ৩২ জেলায় সরাসরি সড়ক যোগাযোগের এক মাত্র পথ এই কুষ্টিয়া-পাবনা ও কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়ক। সড়ক বিভাগের হিসেব মতে এই মহাসড়কে প্রতিদিন ১১ হাজারেও বেশি যানবাহন চলাচল করে। এ কারণে এ মহাসড়ক দুই বঙ্গের মানুষের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অথচ দুই বঙ্গের যোগাযোগের একমাত্র এই মহাসড়কটি যান চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, সড়কের বুক জুড়ে শুধু বড় বড় গর্ত খানাখন্দ। বিশেষ করে কুষ্টিয়া শহরের বারখাদা ত্রিমহোনী থেকে শুরু করে ভেড়ামারা ১১ মাইল পর্যন্ত এবং শহরের মজমপুর গেইট থেকে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সড়কের অবস্থা খুবই নাজুক। এসব এলাকায় সড়কের বেশিরভাগ কার্পেটিং ও ইট খোয়া উঠে গেছে। এতে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা, হচ্ছে প্রাণহানি।
ট্রাকচালক আই্য়ুব আলী বলেন, এ সড়কে গাড়ি চালানো খুব ঝুঁকিপূর্ণ। ভাঙা রাস্তার কারণে গাড়ির খুব ক্ষতি হচ্ছে। ভাড়া পাওয়া যায় তার বেশির ভাগই গাড়ি মেরামতে খরচ হয়ে যাচ্ছে।
কুষ্টিয়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম জানান, এ বছর অতি বৃষ্টিতে এই মহাসড়ক দুটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
তবে সেই অনুযায়ী সরকারি বরাদ্দ আসেনি, তবে তারা সাধ্যমত চেষ্টা করে যাচ্ছেন সড়কটি ঠিক রাখার জন্য। ইতোমধ্যে এই সড়ক সংস্কারের জন্য ৪০ কোটি টাকা বারাদ্দ পাওয়া গেছে, মার্চ মাস নাগাদ এ সড়কের কাজ শুরু হবে। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান