একুশে পদক জীবনের পরম প্রাপ্তি ইলিয়াস কাঞ্চন
পুরস্কার পাওয়া বা কোনো কিছু অর্জন করা মানুষকে আনন্দিত করে। যে কোনো কিছুতে স্বীকৃতি পাওয়া জীবনের পরম প্রাপ্তি। আমরা যখন স্কুলে পড়ি তখন স্কুলের ওপরের ক্লাসে ওঠার বিষয়টা যেমন আনন্দের ছিল। মেট্রিক পাস করা কিংবা খেলায় অংশ গ্রহণ করে পুরস্কার জিতলে যে রকম আনন্দ হতো, তেমনি অনেক আনন্দের ব্যাপার রয়েছে আমার জীবনে। একুশে পদক পাওয়া এক বিশাল ব্যাপার। যে একুশকে লালন করেছি ভেতরে ভেতরে সারা জীবন।
যাদেরকে শ্রদ্ধা করেছি, শহীদ মিনারে ফুল দিয়েছি। সেই শহীদদের নামে পাওয়া পুরস্কার ভীষণ সম্মানের বিষয়। এই আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। এ কেবল অনুভবের বিষয়, যে কাজের জন্য স্বীকৃতি দিয়েছে। পুরস্কারের আশায় কাজ শুরু করি নি। মানুষকে সড়কের মড়ক থেক বাচাঁনোর জন্য কাজ করেছি। পুরস্কার না পেলেও কাজ অব্যাহত থাকতো। কাজ করছি জনগণকে সচেতন করার জন্য।
জনগণকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচানোর উদ্দেশ্যে। মুক্তিযোদ্ধারা যেমন দেশকে বাচাঁনোর জন্য যুদ্ধ করেছেন, তাদের দায়িত্ব বোধ থেকে দেশকে স্বাধীন করে গেছেন। ভাষা শহীদরা যে রকম ভাষাকে প্রতিষ্ঠিত করে গেছেন। সে রকম আমারও দায়িত্ব হল এই সড়কের হাত থেকে মানুষকে রক্ষা করা। আজ ২৪ বছর ধরে কাজ করছি। স্বীকৃতি পেলাম । ভালোই লাগছে।
পরিচিতি : সভাপতি, নিরাপদ সড়ক চাই
মতামত গ্রহণ : সানিম আহমেদ/সম্পাদনা: মোহাম্মদ আবদুল অদুদ