উলিপুরে পৌর কাউন্সিলরদের আন্দোলন, ভোগান্তিতে পৌরবাসী
রোকনুজ্জামান মানু ,উলিপুর(কুড়িগ্রাম) : উলিপুর পৌরসভা টেন্ডার ছাড়াই একই স্থানে একাধিক প্রকল্পের নামে কোটেশন করে কর্মকর্তা কর্মচারীদের নামে চেক দিয়ে কোটি কোটি টাকা উত্তোলন করে হরিলুট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অনিয়ম দুর্নীতির কারনে ইতোমধ্যে ”গুরুত্বপুর্ন নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প” ও বরাদ্ধকৃত অর্থ প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
ফলে পৌরসভার উন্ন্য়ন কর্মকান্ড স্থবির হয়ে গেছে। বেকার হয়েছে ২ শতাধিক ঠিকাদার। ৯ কাউন্সিলর এ সব অনিয়ম দুর্নীতির বিচার ও মেয়রের পদত্যাগের দাবিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়,দুর্নীতি দমন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ সহ দীর্ঘদিন ধরে আন্দোল করে আসছে। আন্দোলনকারীরা পৌরসভার ক্যাশ বিভাগ ও প্রকৌশল বিভাগে তালা দিয়েছে। তাদের দাবির স্বপক্ষে সাংবাদিক সম্মেলন সহ নানা কর্মসুচী অব্যাহত রেখেছে। ফলে পৌরসভার উন্নয়ন কর্মকান্ড ও স্বাভাবিক কাজ কর্মে স্থবির ও অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে ভোগান্তিতে পড়েছে পৌরবাসী। কাউন্সিলরদের অভিযোগে জানা গেছে, কন্ট্রাক রুল অনুযায়ী পাঁকা কাজ টেন্ডারের মাধ্যমে করার বিধান থাকলেও গত ২০১৫-১৬ ও ২০১৬-১৭ আর্থিক বছরে এডিপি ও রাজস্ব খাতের ২ কোটি ২৬ লাখ ৭৭ হাজার টাকা পরিষদের সিদ্ধান্ত ছাড়াই নিয়ম নীতি ও বিধি বর্হিভুত ভাবে ট্রেন্ডার না করে ২০-২৫ লাখ টাকার ড্রেন নির্মান,পাকা রাস্তা সহ বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজের ভুয়া প্রকল্প করে নিজের লোকদের নামে কোটেশন দেখিয়ে সচিব, প্রকৌশলী থেকে শুরু করে সুইপারের নামে চেক দিয়ে লাখ লাখ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়েছে।
এমন কি একই কায়দায়”গুরুত্বপুর্ন নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পে”র অধীনে মহেশের দোকান থেকে খাতিরের মাঠ পযর্ন্ত ৭ শত মিটার রাস্তা পাকা করন” ৪২ লাখ টাকা উত্তোলন করে ঠিকাদারকে না দিয়ে আত্মসাৎ করায় সড়ক পাকা করন কাজ ২ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে।
সেই অভিযোগে উক্ত প্রকল্প ও বরাদ্ধকৃত অর্থ প্রত্যাহার করে নিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ফলে গত ২ বছর প্রত্যাশিত উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হয়েছে পৌরবাসী। সম্পাদনা: আবদুল্লাহ মজুমদার