জম্মুতে ভারতীয় সেনা শিবিরে জঙ্গি হামলা, নিহত ২
আশিস গুপ্ত ,নয়াদিল্লি : আবার জম্মুতে ভারতীয় সেনা শিবিরে হামলা চালিয়েছে জঙ্গিরা। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, এই হামলায় নিহত হয়েছেন দুই সেনা অফিসার। আহত হয়েছেন এক সেনা অফিসার ও তাঁর মেয়ে-সহ ৬ জন। জম্মু পুলিশের আই জি এসডি সিং জাময়ালের ভাষ্যমতে, শনিবার ভোর ৪টা ৫৫ মিনিট নাগাদ জম্মুর সুনজওয়ান সেনা ছাউনিতে ৩৬ আর্মি ব্রিগেডের ফ্যামিলি কোয়ার্টারে ঢুকে পড়ে জইশ জঙ্গিরা। আর তারপরই গ্রেনেড হামলা চালায় ওই জঙ্গিরা। শুধু তাই নয়, এলোপাতাড়ি গুলিও চালাতে শুরু করে তারা। পাল্টা জবাব দেওয়া হয় সেনার পক্ষ থেকেও। তবে জঙ্গিদের গুলিতে আহত হন ৩ জন জওয়ান। এছাড়া আহত হয়েছেন একজন জওয়ানের মেয়েও। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মারা যান তিনি। এখনও পর্যন্ত মোট কতজন জঙ্গি ভেতরে ঢুকে পড়েছে, সেটা জানা যায়নি। ঘিরে ফেলা হয়েছে গোটা এলাকা। মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল সংখ্যক সেনা জওয়ানদের। ওই এলাকা বেশ বড় হওয়ায় জওয়ানদের সংখ্যা আরও বাড়ানো হচ্ছে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াই চলছে। ইতিমধ্যে আশেপাশের সমস্ত স্কুল বন্ধ রাখতে নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। এদিন ভোর বেলা আচমকা সেনা ছাউনির প্রবেশদ্বার লক্ষ করে গুলি ছোড়ে ওই জঙ্গিরা। প্রথমে হকচকিয়ে গেলেও পাল্টা জবাব দেয় সেনাও। তবে আহত হন তিনজন। এছাড়া জঙ্গিদের গুলিতে মারা যান এক জওয়ানের কন্যা। এরপরই জঙ্গিরা জওয়ানদের কোয়ার্টারের দিকে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে আসেন সেনার উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। ঘিরে ফেলা হয় গোটা এলাকা। আর যাতে কোনও প্রকার ক্ষয়ক্ষতি না হয়, তার জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে স্কুল। এলাকাটি যেহেতু আন্তর্জাতিক সীমান্তের খুব কাছে, তাই মনে করা হচ্ছে রাতের অন্ধকারে সীমান্ত পেরিয়েই এই হামলা চালিয়েছে পাক মদতপুষ্ট নিষিদ্ধ জঙ্গিগোষ্ঠীর ফিদায়েঁ জঙ্গিরা। কয়েকদিন আগেই বড়সড় জঙ্গি হামলার আশংকা প্রকাশ করেছিল গোয়েন্দা সংস্থা। কিন্তু কোথায় কীভাবে এই জঙ্গি হামলা হবে, তা স্পষ্ট করে জানা যায়নি। তাই উপত্যকা জুড়ে নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হচ্ছে বলেই জানা গিয়েছে সেনা সূত্রে। তার মধ্যেই ঘটল এই হামলা। ঘটনার দিকে নজর রাখছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। উল্লেখ্য, এই সেনা শিবিরে ২০০৩ সালেও হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা। সেই হামলায় মৃত্যু হয়েছিল ১২ জন সেনা জওয়ানের,আহত হয়েছিলেন ৮ জন। সম্পাদনা : আনিস রহমান