পাকিস্তানের অর্গানোগ্রামে চলছে প্রাণিসম্পদ অধিদফতর শূন্য রয়েছে প্রায় ২ হাজার পদ
মতিনুজ্জামান মিটু : পাকিস্তান আমলের অর্গানোগ্রামে চলছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। এর মধ্যেও শূন্য রয়েছে প্রায় ২ হাজার পদ। প্রাণি আমিষের একমাত্র জোগানদাতা এই গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে নবসৃষ্ট পদসহ সংস্থানকৃত পদের সংখ্যা ৮৩৬৫টি। শূন্য রয়েছে ১৯০৮টি। অধিদপ্তরের ৩য় গ্রেডের পরিচালক বা সমমানের ৫টি পদের ৫টিই খালি রয়েছে। পিএসও বা সমমানের(৫ম গ্রেড) ৩৪টির মধ্যে ২টি, এন্ট্রি লেভেলের (৯ম গ্রেড) ৭৩২টির মধ্যে ১৫৬টি, ২য় শ্রেনীর (১০ গ্রেড) ৯টির মধ্যে ৭টি, তৃতীয় শ্রেনীর (১১ হতে ১৬ গ্রেড) ৪৬৭৬টির মধ্যে ১১৩৭টি ও ৪র্থ শ্রেণীর (১৭ হতে ২০ গ্রেড) ২১৪৫টির মধ্যে ৫৯৫টি পদ শূন্য রয়েছে। অর্গানোগ্রামে জনবল ছিল ৮৪২৬ জন। পরে সংস্থানকৃত পদের সংখ্যা করা হয় ৮৩৬৫টি। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (প্রশিক্ষণ) ড. এ কে এম আতাউর রহমান, ‘সমাজভিত্তিক ও বাণিজ্যিক খামারে দেশি ভেড়ার উন্নয়ন ও সংরক্ষণ (কম্পোনেন্ট-বি) প্রকল্প’-এর পরিচালক মো. হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহিষ প্রজনন ও উন্নয়ন প্রকল্পের ডেজিগনেটেড পিডি ডা. মো. শহীদ আতাহার হোসেনসহ চাকরি জীবনের শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছেন এমন অনেক কর্মকর্তা জানান, দীর্ঘকাল অর্গানোগ্রামের পরিবর্তন হয়নি। তবে বর্তমানে নতুন প্রস্তাবনা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। শূন্যপদ পূরণেরও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তারা জানান, জনবলের অভাবে অধিদপ্তরের অনেক দরকারি কাজ প্রত্যাশা অনুযায়ী করা যায় না। অথচ চাহিদা অনুযায়ী দেশে এই সেক্টরে কাজের পরিধি অনেক বেড়েছে। রোগের হাত থেকে প্রাণি বিশেষ করে মানুষকে রক্ষা এবং প্রাণিসম্পদের উন্নয়ণ ও সংরক্ষণে জরুরিভিত্তিতে অর্গানোগ্রামকে সময় উপযোগী করতে হবে। তা না হলে সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা কঠিন হয়ে পড়বে। সম্পাদনা : আনিস রহমান