‘খালেদা জিয়া আইনি প্রক্রিয়ায় জামিন পেতে পারেন’
এস এম নূর মোহাম্মদ : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আইনি প্রক্রিয়ায় জামিন পেতে পারেন বলে অভিমত দিয়েছেন আওযামীপন্থী আইনজীবীরা। গতকাল রোববার সুপ্রিম কোর্টে সংবাদ সম্মেলনে তারা এ অভিমত দেন। বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের ব্যানারে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। পরিষদের সদস্য সচিব ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, দুর্নীতির দায়ের দ- হওয়াকে কেন্দ্র করে একটি প্রতিক্রিয়াশীল মহল ধু¤্রজাল সৃষ্টি করার পাঁয়তারা করছে। এখন আইনি প্রক্রিয়ায় খালেদা জিয়া আপিল করবেন। আদালত বিবেচনা করবেন, তাকে জামিন দেয়া যায় কিনা। তিনি আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জামিন পেতে পারেন বলেও জানান তিনি।
জামিনের বিষয়ে একই কথা বলেন সাবেক আইনমন্ত্রী আবদুল মতিন খসরু। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার ৫ বছল সাজা হয়েছে। আদালত সাধারনত এরকম ৫-১০ বছর সাজার ক্ষেত্রে জামিন মঞ্জুর করে থাকেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, পরিষদের আহবায়ক জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, আবদুল মতিন খসরু, বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান আবুদল বাসেত মজুমদার, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন, নুরুল ইসলাম সুজন এমপি, আওয়ামী লীগের আইন সম্পাদক শ ম রেজাউল করিম ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সহ সভাপতি মো.অজি উল্লাহ প্রমূখ।
ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, এ রায়ের মাধ্যমে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। মামলার উৎপত্তি ১৯৯১ সালে। বিদেশ থেকে যে টাকা আনা হয়েছে সেটাকে প্রধানমন্ত্রী এতিম তহবিল হিসেবে ফান্ড ঘটন করে সেখানে প্রথমে রাখা হয়। এরপরবর্তীতে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট সৃষ্টি করে সেই টাকা সেখানে স্থানান্তর করা হয়। ২০০৭ সাল থেকে কাজী সলিমুল হক, তারেক রহমান, মুমিনুর রহমান এবং শরফুদ্দীন নামে ব্যক্তিদের নামে টাকাটি ট্রান্সফার করা হয়। আমরা অত্যান্ত অবাক হয়েছি কোন এতিমতো দুরে থাক, কোন গরিব ব্যক্তির জন্য সেই ট্রাস্টের টাকা ব্যবহার করা হয়নি। বরং এ সকল ব্যাক্তিরা এ টাকাটি নিজেদের নামে আতœসাত করেছেন।
তাপস বলেন, ডিভিশন দেয়া নিয়ে ধু¤্রজাল সৃষ্টি করা হয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ডিভিশন তিনি প্রাপ্য। সে প্রাপ্য পরিপূর্ণভাবে তাকে দেয়া হয়েছে। সুতরাং নতুন করে ধু¤্রজাল ষড়যন্ত্র সৃষ্টির অবকাশ নেই।
এদিকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নৈতিক স্খলনজনিত কারণে অভিযুক্ত হয়ে কারও দুই বছরের অধিক সাজা হলে সাজার পরবর্তী পাঁচ বছর তিনি নির্বোচনে অযোগ্য হবেন। এখন হাইকোর্টে আপিল হবে। তিনি জামিন আবেদন করতে পারবেন। জামিনও পেয়ে যাবেন। তিনি মামলা স্থগিতও চাইতে পারেন। এ অবস্থায় কেউ যদি আপিল করে আপিল চলা অবস্থায় একেবারে বিচার শেষ না হওয়া পযন্ত তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। কাজেই নির্বাচনে অংশ গ্রহণ নিয়ে কোন রকমের বিতর্ক সৃষ্টি করা ঠিক না। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে।