ডিজিটাল পদ্ধতিতে সীমান্তে নজরদারি করা হবে : ডিজি বিজিবি
ইসমাঈল হুসাইন ইমু : এখন থেকে সীমান্তে ডিজিটাল পদ্ধতিতে নজরদারি করা হবে। এমন তথ্য জানিয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবুল হোসেন বলেন, ইন্টারনেট বেজড ক্যামেরা, রাডার, ফ্লাড লাইট লাগানো হবে সীমান্তে। পাশাপাশি ট্রাকিং সিস্টেমও চালু করা হবে। গতকাল রোববার দুপুরে বিজিবির সার্বিক কর্মকা- ও সফলতা বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
বিজিবি প্রধান বলেন, বিভিন্ন সময় মিয়ানমারের উস্কানি সত্ত্বেও আমরা সহনশীলতার পরিচয় দিয়েছি। যে কারণে আমরা বর্ডার ম্যানেজমেন্ট ঠিক রাখতে পেরেছি। রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিজিবি কার্যকরী ভূমিকা রেখেছে। তবে মিয়ানমার ১৮ বার এপিসি হেলিকপ্টারে সীমান্ত সীমারেখা লঙ্ঘন করেছে। আমরা সহনশীলতার পরিচয় দিয়েছি বলেই রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশকে কোনো ব্লেম করতে পারেনি মিয়ানমার। তাদের ষড়যন্ত্র সফল হয়নি।
বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, বাংলাদেশের প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত ও মিয়ানমারের সীমান্ত বাহিনীর সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করে লাভ নেই। যাকে দূরে রাখতে কিংবা ঠেলে দেয়া যায় না। তার সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতির বিকল্প নেই। বাংলাদেশের প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত ও মিয়ানমার। তাদের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ নয়, বরং সম্পর্ক উন্নতিই আমাদের লক্ষ্য। সীমান্তে সিটমহল ও জনসংখ্যাগত কিছু সমস্যা ছিল এর অনেকাংশ সমাধান হয়েছে। শুধু মুহুরির চর নিয়ে একটা ঝামেলা রয়েছে। আমরা সেটাও মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা করছি।
আবুল হোসেন বলেন, ইয়াবাসহ মাদক নির্মূল করা বিজিবির একার কাজ নয়। আমরা সবাই জানি দেশের বাইরে মিয়ানমার থেকে ইয়াবা আসে। দিনে মাদক খুব কম আসে। রাতেই বেশি আসে। একদিকে টহল দিলে আরেক দিক খালি হয়ে যায়। সেটা কাভারের চেষ্টা চলছে। সীমান্ত রাস্তা নির্মাণ সম্পন্ন হয়ে গেলে আগের তুলনায় মাদকবিরোধী পদক্ষেপ বেশি বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।
নারী ও শিশু পাচার আগের চেয়ে কমে এসেছে দাবি করে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, আমরা মাদকের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতির বাস্তবায়ন করতে পারবো। সেজন্য সবার ঐকান্তিক চেষ্টা, সহযোগিতা ও পরামর্শ দরকার। আমরা বর্ডার অবজারভেশন পোস্টের (বিওপি) মধ্যে দূরত্ব কমিয়ে আনা হয়েছে। কুইক রেসপন্স ফোর্স গঠন করা হয়েছে। মোবাইল পার্টি টহলে থাকে। ৫৩৯ কিলোমিটার অরক্ষিত সীমান্তের ৪২০ কিলোমিটার বিওপির নিয়ন্ত্রণে আনা গেছে। বাকি এলাকাতেও কাজ চলছে। অসীমান্ত সুরক্ষার জন্য রাডার ও সেন্সর স্থাপন করার প্রক্রিয়া চলছে। সম্পাদনা : এনামুল হক