তানবীরের ব্যাটিং নৈপুণ্যে টানা দ্বিতীয় জয় পেল শেখ জামাল
নিজস্ব প্রতিবেদক : শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় দলের টেস্ট স্কোয়াডে ছিলেন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের তানবীর হায়দার। যদিও একাদশে সুযোগ মেলেনি। সদ্য ঘোষিত টি-টুয়েন্টি দলে জায়গা হয়নি তার। ব্যাপারটি হয়তো ভালোভাবে নেননি এ ক্রিকেটার। তাই সব রাগ যেন ঝাড়লেন নবাগত অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের উপর। ৪৮ বলে ৭১ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেছেন তিনি। তার ব্যাটে ভর করেই রোববার ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে শেখ জামাল। ২৮ রানের জয় পেয়েছে দলটি। তবে এদিন ব্যর্থ হয়েছেন টি-টুয়েন্টি দলে জায়গা ধরে রাখা সৌম্য সরকার। শেখ জামালের দেওয়া ২৯৫ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দলীয় ৩৭ রানেই আউট অগ্রণী ব্যাংকের বড় ভরসা সৌম্য সরকার। আর ৭ রান তুলতেই নেই আরেক ওপেনার আজমির আহমেদ। ফলে চাপে পড়ে যায় নবাগত দলটি। এরপর পাকিস্তানি ক্রিকেটার রাফাতুল্লাহ মোহাম্মদকে নিয়ে ৩৮ রানের জুটি গড়েন শাহরিয়ার নাফীস। দলীয় ৮৩ রানে নাফীসের বিদায়ে আবার চাপে পরে তারা। চতুর্থ উইকেটে ধীমান ঘোষকে নিয়ে ৬২ রানের জুটি গড়ে সে চাপ সামলে নেওয়ার চেষ্টা করেন রাফাতুল্লাহ। কিন্তু এ জুটি ভাঙতেই যেন সব শেষ। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে দলটি। উল্লেখ করার মতো আর কোন জুটি গড়তে না পারলে নির্ধারিত ৫০ ওভার পূর্ণ হওয়ার ৫ বল আগে ২৬৬ রানেই অলআউট হয় অগ্রণী ব্যাংক। ফলে ২৮ রানের জয় পায় শেখ জামাল। শেষ দিকে ৩১ বলে শফিউল ইসলামের ৪৪ রানের ইনিংসে কেবল হারের ব্যবধানই কমেছে। ১টি চারের সঙ্গে ৩টি ছক্কা মারেন শফিউল। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৮ রানের ইনিংস খেলেন ধীমান। ৪৭ বলে ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। ৬৬ বলে ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় ৪৩ রান করেন রাফাতুল্লাহ। শেখ জামালের পক্ষে ২১ রান খরচায় ৩টি উইকেট নিয়ে সেরা বোলার নাজমুল ইসলাম অপু। ৩টি উইকেট পান ইলিয়াস সানিও।
এছাড়া ২টি উইকেট নিয়েছেন সোহাগ গাজী।
এর আগে গতকাল সাভারের বিকেএসপিতে এদিন টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে শেখ জামাল। তবে শুরুতেই পেসারদের তোপে পরে দলটি। ফলে দলীয় ৩৬ রানের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারিয়ে ফেলে তারা। তিন নম্বরে নেমে দারুণ খেলতে থাকা সৈকত আলীও আউট হয়েছেন দলীয় ৫৬ রানে। ফলে চাপে পরে যায় দলটি। তবে চতুর্থ উইকেটে শেখ জামালের ভারতীয় রিক্রুট দিগবিজয় রাঙ্গিকে নিয়ে ৯৪ রানের দারুণ এক জুটি গড়ে তোলেন অধিনায়ক ইলিয়াস সানি।
এরপর ৪ রানের ব্যবধানে এ দুই উইকেট তুলে নিয়ে খেলায় ফিরে আসে অগ্রণী ব্যাংক। তবে ষষ্ঠ উইকেটে আগের ম্যাচে ৯০ রানের ইনিংস খেলা নুরুল হাসান সোহানকে নিয়ে ৮২ রানের দারুণ এক জুটি গড়ে দলকে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দেন তানবীর হায়দার। মাত্র ৪৮ বলে ৫টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৭১ রান করেন তানবীর। ৭৬ বলে ৫৮ রান করেন রাঙ্গি। এছাড়া সানি ৪০ ও সোহান ৩৬ রান করেন।
অগ্রণী ব্যাংকের পক্ষে ৬৮ রানের খরচায় ৪টি উইকেট পান শফিউল ইসলাম। দীর্ঘদিন পর টেস্ট দলে ডাক পাওয়া আব্দুর রাজ্জাকও দারুণ বোলিং করেছেন। ৪০ রানের খরচায় পেয়েছেন ২টি উইকেট। আর ব্যাট হাতে ব্যর্থ হলেও ৫০ রানের খরচায় ২টি উইকেট নিয়েছেন সৌম্য।